প্রাণ বাজি রেখে বাঁচান এক শিশুকে, কিন্তু শিন্ডের চোখের সামনেই তলিয়ে যায় তার দুই সন্তান

বাংলাহান্ট ডেস্ক : একনাথ সম্ভাজি শিন্ডে। কান পাতলেই নামটি এখন শোনা যাচ্ছে মহারাষ্ট্রের আকাশে। যে উল্কার গতিতে তিনি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদ পেয়েছেন, সেই উল্কা গতিতে কিন্তু তার কেরিয়ার তৈরি হয়নি। জীবনের শুরু থেকে সঙ্গী ছিল সংঘর্ষ। সাতারা থেকে মুম্বাই এসে থাকতে শুরু করেন টালির চালের ঘরে। পেশা হিসেবে বেছে নেন অটো চালানোকে।

কিন্তু সেই সময় হঠাৎই পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির জেরে মুম্বাই ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় শুরু হয়ে যায় কিছু গোষ্ঠী হিংসা। শিন্ডের এক প্রাক্তন প্রতিবেশীর কথায়, ১৯৮৯ সাল নাগাদ বৃহত্তর মুম্বাই এলাকায় শুরু হয় গোষ্ঠী সংঘর্ষ। ওই সময় এক রাতে বস্তির একটি অসুস্থ শিশুকে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নিজে অটো চালিয়ে নিয়ে যান হাসপাতালে। তার কথায়, শিন্ডে না থাকলে সেদিন হয়তো শিশুটিকে বাঁচানোই যেত না।

ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিশেষ জায়গা করে নেওয়া এই ব্যক্তির রাজনৈতিক জীবন শুরু আশির দশকের। সেই সময় কলেজ ত্যাগ করে বাল সাহেব ঠাকরের ডাকে সাড়া দিয়ে যোগদান করেন প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে। মহারাষ্ট্রে সাতারার বাসিন্দা হলেও নিজের রাজনৈতিক ভূমি হিসেবে বেছে নেন শিবসেনার শক্ত ঘাঁটি ঠানেকে। খুব দ্রুত সেই এলাকার শিবসেনার নেতা আনন্দ দীঘের বিশ্বস্ত পাত্র হয়ে ওঠেন তিনি।

শিন্ডের ওই প্রতিবেশীর কথায়, শিবসেনার নিচু তলার কর্মী থাকাকালীন সর্বদা তাকে পাশে পেতেন তারা। মানুষের দুঃখে কষ্টে সব সময় পাশে দাঁড়াতেন শিন্ডে। ওই প্রতিবেশীর কথা থেকে জানা যায়, খুবই অল্প সময়ের জন্য ঘুমোতেন শিন্ডে। যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকতেন।

jpg 20220701 161528 0000

১৯৯৯ সালে শিন্ডের জীবনে নেমে আসে এক অন্ধকার। এই বছর নৌকায় সওয়ার করার সময় তার চোখের সামনে দুই ছেলে তলিয়ে যায়। নিজের চোখের সামনে মৃত্যুমুখে চলে যেতে দেখেন তার দুই ছেলেকে। এরপর মানসিক অবসাদের শিকার হয়ে রাজনীতি থেকেও দূরে চলে যান শিন্ডে। কিন্তু তার রাজনৈতিক গুরু দীঘের অনেক চেষ্টায় ফের সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরে আসেন তিনি।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর