বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর থেকেই একে একে বহু নেতা-নেত্রীরা পদ্মফুল শিবির ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লিখিয়ে চলেছেন। মুকুল রায়, রাজীব ব্যানার্জি থেকে শুরু করে বাবুল সুপ্রিয়র মতো নেতাদের শাসকদলে অন্তর্ভুক্তি ঘটার ফলে ক্রমশই তলানিতে গিয়ে ঠেকছে বিজেপি আর এবার কি তবে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের পালা? বর্তমানে বঙ্গ রাজনীতিতে এই জল্পনাটি ক্রমশ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এবার এই প্রসঙ্গে অবশেষে মুখ খুললেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
বাংলার রাজনীতিতে রূপা এবং দিলীপ ঘোষের মধ্যে দ্বন্দ্ব সকলেরই জানা। ফলে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে রূপা প্রসঙ্গে যে তির্যক কিছু দিক থাকবে, তা আশা করা হয়েছিল। সেই ধারা বজায় রেখে তিনি বলেন, “আমার কাছে শুধুমাত্র আমার খবর থাকে। বড় নেতারা কি করবে, সেই খবর আমি রাখিনা।”
উল্লেখ্য, গত সোমবার কলকাতার একটি অনুষ্ঠানে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এবং রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে একই সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। যদিও উক্ত দুজনে এই সম্পর্কে বিশেষ কোন মন্তব্য করতে চাননি, তবে রাজ্যে দলবদলের প্রসঙ্গ মাঝে বিজেপি নেত্রীর তৃণমূলে অন্তর্ভুক্তির জল্পনা ক্রমশই ছড়াতে থাকে। এর মাঝে আবার সোশ্যাল মাধ্যমে বর্তমান বিজেপি সাংসদ রূপাকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিতে থাকে তাঁর দলেরই লোকজন।
যদিও পরবর্তীতে বিজেপি নেত্রী জানান, “এইসকল কথাবার্তা খড়গপুর এবং মেদিনীপুরের দিক থেকে বেশি উঠে আসছে।” ফলে তাঁর অভিযোগের তির যে দিলীপ ঘোষের দিকেই, তা বুঝতে আর দেরি হয়নি। এই প্রসঙ্গে এদিন দিলীপবাবু বলেন, “কাউকে গালাগালি দেওয়া আমার অভ্যাস নয় আর দিতেও কখনো বলি না।”
এছাড়াও সেলিব্রিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দল যেমন অনেক সময় সেলিব্রেটিদের যোগদান করায় আবার তারাও দলের ভিতরে ঢুকতে চায়। এসব কিছুই নির্ভর করে পরিস্থিতির ওপর।” তবে বর্তমানে যেভাবে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের দলবদলের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে, সেদিক থেকে দেখতে গেলে বাবুল সুপ্রিয় ও মুকুল রায়ের সারিতে রূপা নাম লেখান কিনা, সেটাই দেখার।