বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সময়ে বাংলার বেশ কয়েকটি প্রান্ত থেকে বেহাল রাস্তার চিত্র উঠে এসেছে। বর্তমানে সেই একই অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফারাক্কা এলাকায়। রাস্তার পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, প্রতিদিন যানবাহনে করে যেতে যথেষ্ট জীবনের ঝুঁকি নিতে হয় মানুষকে। অথচ কোন উপায়ও নেই তাদের কাছে।
সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের ফারাক্কার ধর্মডাঙা থেকে তিলডাঙা পর্যন্ত বিস্তৃত এই এলাকায় রাস্তার করুণ দশার চিত্র সামনে উঠে এসেছে। প্রায় ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন অসংখ্য মানুষ। ফলে তাদের প্রতিনিয়ত কি পরিমাণ ঝুঁকির মুখোমুখি হতে হয়, তা এলাকাবাসীদের কথাতেই স্পষ্ট। এলাকার একাধিক বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিগত বেশ কিছু সময় ধরে রাস্তার কোনো রকম মেরামাতি কার্য চালানো হয়নি। ফলে যতদিন অগ্রসর হতে থাকছে, ততই যেন ভগ্নদশা বেড়ে চলেছে। বর্ষার সময় সেই সংকট আরো বৃদ্ধি পায়।
এলাকার পরিস্থিতি সম্পর্কে এক টোটোচালক জানান, “৬ কিমি দীর্ঘ এই রাস্তার মধ্যে দিয়ে আমাদেরকে যাতায়াত করতে হয়। ফলে বাহনের ক্ষতি যেমন হয়, ঠিক তেমনভাবেই যাত্রীদেরও সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ফলে অনেক সময় এই রাস্তার উপর দিয়ে মানুষ যাতায়াত করতে চায় না, তাই আমাদের রোজগারে তা বাধার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। প্রশাসনকে এ বিষয়ে একাধিকবার জানিয়েছি, তবে কোনরকম সমাধানের রাস্তা বের হয়নি। প্রতিনিয়ত খারাপ রাস্তার মধ্যে দিয়েই যাতায়াত করতে হয়, কিছু করার নেই।” এছাড়াও এলাকাবাসীর অভিযোগ, হাত দিয়ে টানলেই রাস্তার পিচ উঠে যাচ্ছে। তাঁরা এই নিয়ে দুর্নীতির গন্ধও পেয়েছে।
অপর এক বাইক আরোহীর কথায়, “টোটো, অটো, দুই চাকা থেকে শুরু করে চার চাকা গাড়িগুলিও এই রাস্তার উপর দিয়ে যাচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষকে কি পরিমাণ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, তা সম্পর্কে কোন আন্দাজ নেই প্রশাসনের। মেরামতির কার্য বহুদিন ধরে বাকি পড়ে রয়েছে। ঢালাই করা হলেও রাস্তার কোন উন্নতি হয়নি। এখানকার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রামের মানুষজনলে এখান দিয়েই যাতায়াত করতে হয়, ফলে বহু সময় বিভিন্ন টোটো কিংবা দুই চাকার গাড়িকে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে দেখা যায়।”
তবে বর্তমানে এলাকাবাসী থেকে শুরু করে পার্শ্ববর্তী গ্রামের মানুষেরা ভালো রাস্তা গড়ে তোলার দাবি তুলেছেন। তাদের একটাই আবেদন, “যাতায়াতের যোগ্য রাস্তা গড়ে তুলুক প্রশাসন। যাতে ভবিষ্যতে কোনো রকম দুর্ঘটনা না ঘটে।”