বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাবা সইফ আলি খান, মা অমৃতা সিং। ছোট থেকেই সব ধর্মকে সম্মান করার শিক্ষা পেয়ে এসেছেন সারা আলি খান (Sara Ali Khan)। বাবার পদবী এবং ধর্ম নিলেও মেয়েকে ছোট থেকে একা হাতেই মানুষ করেছেন অমৃতা। শিখিয়েছেন নিজের ধর্মের খুঁটিনাটিও। তাই সারা যেমন মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন, তেমনি মসজিদে গিয়েও প্রার্থনা করেন।
সারার সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্টের পরতে পরতে চমক। কোনো ছবিতে তিনি সালোয়ার কামিজে সেজে, মাথায় ওড়না দিয়ে কোনো ধর্মীয় স্থানে ঈশ্বরের আরাধনায় মগ্ন। আবার পর মুহূর্তেই তাঁকে দেখা যাবে বিকিনি পরে সমুদ্র সৈকতে রোদ পোহাচ্ছেন। সারাকে চেনা বেশ কঠিনই বটে।
একই অঙ্গে এত রূপের জন্য ট্রোলডও হন সারা। কট্টরপন্থীরা প্রায়ই তুলোধনা করেন তাঁকে। কিন্তু অভিনেত্রী বেপরোয়া। এখন তাঁর নিজেকে চেনার সময়। যেটা ইচ্ছা করে সেটাই করেন। চমকও দিতে ভালবাসেন তিনি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সারা বলেন, “আমি সারাক্ষণ বিকশিত হচ্ছি। যে মেয়েটা মন্দিরে যায়, সেই একই মেয়ে সমুদ্র সৈকতে বিকিনি পরে। আবার সেই মেয়েটাই শুটিংয়ের ৪৫ দিন নিজের মায়ের থেকে দূরে থাকতে অপছন্দ করে। সারাক্ষণ চমক দিতে থাকবে। কারণ সে নিজেই নিজেকে চমকে দিচ্ছে।”
কিছুদিন আগেই বাবা সইফ, সৎ মা করিনা, আপন ভাই ইব্রাহিম আলি খান আর সৎ ভাই জাহাঙ্গীরের সঙ্গে লন্ডনে ঘুরতে গিয়েছিলেন সারা। তার আগে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ঘুরে এসেছেন ইস্তানবুল। সেখানে গিয়ে মাথায় ওড়না ঢাকা দিয়ে ঢুকেছেন মসজিদে। আবার ইস্তানবুলেই রামধনু রঙা বিকিনিতে ঝড় তুলেছেন সারা।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে গুজরাটে গ্যাসলাইট ছবির শুটিং সেরেছেন সারা আলি খান ও বিক্রান্ত মাসে। ছবির পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন পবন কৃপালানি পবন। এছাড়াও ভিকি কৌশলের সঙ্গেও একটি ছবিতে অভিনয় করেছেন সারা।