বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) কর ব্যবস্থা (Taxation System) নিয়ে একটি বড় বিবৃতি দিয়েছেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রবর্তিত ট্রাস্ট ভিত্তিক কর ব্যবস্থা ভালো সংগ্রহের দিকে পরিচালিত হয়েছে এবং ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি তিনি বিগত আর্থিক বছরে ১৪ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব সংগ্রহ অর্জনের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রশংসা করেছেন। এমতাবস্থায়, চলতি বছরেও অর্থমন্ত্রী জনগণের কাছে আবেদন করেছিলেন। যার প্রভাব আবারও দৃশ্যমান।
এই বছরও রেকর্ড সংগ্রহ: সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের একই সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে জুলাই মাসে জিএসটি সংগ্রহের পরিমান ২৮ শতাংশ বেড়েছে। জানা গিয়েছে জুলাই মাসে, জিএসটির সংগ্রহ থেকে ১,৪৮,৯৯৫ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে এসেছে। অপরিদকে, ২০২১ সালের জুলাই মাসে জিএসটি সংগ্রহের পরিমান ছিল ১,১৬,৩৯৩ কোটি টাকা।
সমস্ত খামতি দূর করা হয়েছে হয়েছে: উল্লেখযোগ্যভাবে, প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহ বার্ষিক ভিত্তিতে ৪৯.০২ শতাংশ বেড়ে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ১৪.০৯ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, সরকার ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের জন্য ১৪.২০ লক্ষ কোটি টাকার প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। এমতাবস্থায়, অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, সরকার একাধিক অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান করেছে এবং প্রত্যক্ষ করের সাথে সম্পর্কিত পরিকাঠামোগত ত্রুটিগুলিকেও দূর করা হয়েছে। এছাড়াও, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সরকার যেসব সংস্কার করেছে তা কর ব্যবস্থাকে আরও আস্থা অর্জনের সুযোগ করে দিয়েছে।
আয়কর রিটার্নের সংখ্যা বৃদ্ধি: সীতারামন জানান যে, ট্রাস্ট ভিত্তিক করদাতারা কর ব্যবস্থাকে নিশ্চিত করেছেন এবং আয়কর রিটার্নের সংখ্যা বৃদ্ধি থেকে এটা স্পষ্ট যে, এই কর সংগ্রহ আরও উন্নত হয়েছে। শুধু তাই নয়, করদাতাদের জন্য পরিষেবা ও স্বচ্ছতা বাড়ানোর জন্য বিভাগীয় প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে প্রযুক্তিকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিভাগ ইতিবাচক পরিবর্তন করেছে: এই প্রসঙ্গে অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী জানিয়েছেন, ট্যাক্স বিভাগের দায়িত্ব কেবল দক্ষ এবং কার্যকর ট্যাক্স প্রশাসনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং সৎ এবং দায়িত্বশীল করদাতাদের সম্মান জানানোও সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্ব। এমতাবস্থায়, করদাতাদের সেবা প্রদান এবং ইতিবাচক পরিবর্তন গ্রহণ করে বিভাগটি একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছে। আর সেই কারণেই ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা বেড়েছে, যা নিঃসন্দেহে ওই বিভাগের দক্ষতার পরিচয় দেয়।