বাংলাহান্ট ডেস্ক: মহালয়া আসতে এখনো বাকি তিন সপ্তাহ। তারপরেই মর্ত্যে আগমন হবে উমার। কিন্তু বাংলায় এ বছর দৃশ্যটা একটু অন্য রকম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ডাকে রাজ্যে এবার সময়ের আগেই পুজোর আমেজ। বাংলার দূর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো। ঢাকের বাদ্যি, ধুনুচি নাচ আর দূর্গা প্রতিমা নিয়ে তাই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে এদিন ধন্যবাদ জানানো হয় ইউনেস্কোকে।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর কথায় ‘দলমত নির্বিশেষে’ শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন সাংষ্কৃতিক জগতের বহু চেনা পরিচিত মুখ। তৃণমূলের নেতামন্ত্রীরা তো ছিলেনই, এছাড়াও মিছিলে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে পাশে হাঁটতে দেখা যায় অভিনেত্রী তথা তৃণমূল কাউন্সিলর শ্রীতমা ভট্টাচার্য, পরিচালক বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, পরিচালক সুদেষ্ণা রায়, সুভদ্রা মুখোপাধ্যায়, অভিনেতা ভরত কল সহ আরো অনেককেই।
রেড রোডে আয়োজন করা হয়েছিল সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের। সেখানেই পারফর্ম করতে দেখা গেল বড়পর্দা ও ছোটপর্দার বিশিষ্ট অভিনেত্রীদের। মিমি চক্রবর্তী, জুন মালিয়া, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, কৌশানি মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলাদা করে নজর কাড়লেন সৌমিতৃষা কুণ্ডুও। নাচতে দেখা যায় রাজ-পত্নি অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়কে।
মঞ্চে ছিলেন বিধায়ক লাভলি মৈত্র, বিধায়ক অদিতি মুন্সি, অভিনেতা রেজওয়ান রব্বানি শেখকেও। ছোটপর্দা, বড়পর্দা মিলিয়ে অধিকাংশ তারকাই থাকলেও দেখা মেলেনি সুপারস্টার দেবের। তৃণমূলের প্রায় প্রতি অনুষ্ঠানে, সভায় দেখা মেলে অভিনেতা সাংসদের। কিন্তু এবারে দেবকে ব্রাত্য দেখে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন জেগেছিল তিনি কোথায়? এমন গুরুত্বপূর্ণ দিনে ‘দিদি’র প্রিয় অভিনেতাকে তাঁর পাশে দেখা গেল না কেন?
জানা গিয়েছে, দেব নিজেই ব্যস্ত ছিলেন পুজো নিয়ে। তাঁর আবাসনে গণেশ পুজো হয়েছে। এদিন অতিথি অভ্যাগতদের জন্য খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন দেব। সেখানেই ব্যস্ত ছিলেন তিনি সারাদিন। তাই মুখমন্ত্রীর সঙ্গে শোভাযাত্রায় পা মেলাতে পারেনন দেব।