বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ডিসেম্বরের মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) সরকার ভাঙবে! পুনরায় একবার ভবিষ্যৎবাণী করে বসলেন বিজেপি (Bharatiya Janata Party) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। একইসঙ্গে সিবিআইয়ের (CBI) ভূমিকা নিয়েও ফের একবার আক্রমণাত্মক মেজাজে ধরা দিলেন তিনি।
বিরোধীদের কড়া আক্রমণ থেকে শুরু করে কখনো কখনো নিজের দলের বিরুদ্ধেই বেফাঁস মন্তব্যের দ্বারা সর্বদাই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন দিলীপ ঘোষ। সেই ধারা বজায় রেখে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে কটাক্ষ ছুড়ে বসেন তিনি। এরপর বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফ থেকে তাঁকে সতর্ক করা হয়। তবে তা সত্ত্বেও দমতে নারাজ দিলীপবাবু!
রামপুরহাটের সভা থেকে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে ফের একবার কটাক্ষ করে দিলীপবাবু বলেন, “সিবিআই ডাকাডাকি করছে আর ধরছে। কিন্তু সাজা দিচ্ছে না। যদি সাজা না দেয়, তবে সাধারণ মানুষের মনে বিশ্বাস জন্মাবে কি করে? শুধু ধরলেই তো আর হবে না।” বিজেপি নেতার এহেন মন্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে অবশ্য বিজেপি নেতৃত্বের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
একইসঙ্গে এদিন তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “মন্ত্রীরা এখন সিবিআইয়ের ভয়ে লুকিয়ে রয়েছেন। অনেকে তো এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। ফলে বাংলায় সরকার কে চালাবে, তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই এই সরকার ভাঙবে।”
উল্লেখ্য, অতীতে শুভেন্দু অধিকারী থেকে অন্যান্য একাধিক বিজেপি নেতার মুখে সরকার ভাঙার প্রসঙ্গ উঠে আসে। বর্তমানে সেই অস্ত্রেই যেন পুনরায় একবার শান দিলেন দিলীপ ঘোষ। যদিও তৃণমূল শিবিরের তরফ থেকে এসব মন্তব্যকে বিশেষ পাত্তা দেওয়া হয়নি।
বর্তমানে বাংলায় একের পর এক দুর্নীতি ইস্যুতে অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে অনুব্রত মণ্ডলরা জেলে হেফাজতে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে শাসক দলকে আরো চাপে ফেলতে বিরোধীরা এ সকল মন্তব্য করে চলেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। উল্লেখ্য, আগামী ১৩ই সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযান। তার আগে এদিন দিলীপ ঘোষের মন্তব্য বঙ্গ রাজনীতিকে আরো উত্তপ্ত করে তুলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
একইসঙ্গে বিজেপির সভা থেকে দিলীপ ঘোষের হুঙ্কার, “গতবার যখন নির্বাচন হয়েছিল, তখন অনুব্রতর বাহিনী আমাদের আটকে ছিল। এখন ও জেলে রয়েছে। এবার দেখা যাবে, কার কত কব্জির জোর।”