বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ বিজেপির (Bharatiya Janata Party) ‘নবান্ন অভিযান’ ঘিরে সারাদিন ধরেই সরগরম রয়েছে বঙ্গ রাজনীতি। শহরের একাধিক প্রান্তে রাস্তা বন্ধ, যানজট এবং পুলিশ বনাম বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ধস্তাধস্তিতে উত্তপ্ত রাজনৈতিক প্রাঙ্গণ আর এর মাঝেই নবান্নে সরকারি কর্মচারীদের উপস্থিতি রইল চোখে পড়ার মতো। টেবিলে অসংখ্য ফাইল পড়ে থাকলেও কাজ করার লোক নেই। এই পরিস্থিতিকে অনেকে ব্যঙ্গ করে ‘করোনার সময়কার পরিস্থিতি’ বলেও কটাক্ষ করেছেন।
সূত্রের খবর, নবান্নের প্রতিটি দফতরে যেখানে ১০ জন লোক প্রতিদিন হাজিরা দেন, সেখানে আজ কোথাও উপস্থিত মোটে তিন জন, আবার কোন দফতরে সেই সংখ্যা চার থেকে পাঁচ!
উল্লেখ্য, এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতি এবং অপশাসনের বিরুদ্ধে বিজেপির ‘নবান্ন অভিযান’ ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। একাধিক স্থানে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ধস্তাধস্তির ছবি সামনে আসে। এমজি রোডে পুলিশের গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়ে উত্তেজনা। একদিকে যখন শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে লকেট চট্টোপাধ্যায়দের আটক করা হয়, আবার অপরদিকে তৃণমূল কংগ্রেস পঞ্চায়েত প্রধানকে মারধরের ঘটনাও সামনে আসে।
যদিও বিজেপির নবান্ন অভিযানকে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ওদের মিছিলে লোক হয়নি। বেলুন ফুটো হয়ে গিয়েছে।” তবে বিরোধী দলের অভিযান মাঝে এদিন নবান্ন এক প্রকার ফাঁকাই রইলো। এক্ষেত্রে সরকারি তরফ থেকে স্পষ্ট করে কিছুই জানানো হয়নি। তবে এক্ষেত্রে অনেকের মতে, রাস্তায় যানজট এবং গন্ডগোলের আশঙ্কাই সরকারি কর্মচারীদের উপস্থিতিতে প্রভাব ফেলেছে।
এক সরকারি কর্মচারীর কথায়, “ট্রেন, বাস কিংবা অটো কোন কিছুই মিলছে না। রাস্তা বন্ধ। লোকে আসবে কি করে?”