Indian Railways: ট্রেনের ইঞ্জিনে কেন লেখা থাকে এই সাঙ্কেতিক চিহ্ন? এর পেছনে রয়েছে চমকপ্রদ কারণ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশে প্রতিনিয়তই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্যযাত্রীদের সংখ্যা। এমতাবস্থায়, সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে বেশিরভাগ মানুষই রেলপথকে (Indian Railways) ভরসা করেন। প্রতিদিন সমগ্ৰ দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনে চেপেই পৌঁছে যান নিজেদের গন্তব্যে। পাশাপাশি, দূরপাল্লার সফরের ক্ষেত্রেও ট্রেনের জুড়ি মেলা ভার। আর এই কারণেই রেলপথকে ভারতের পরিবহণ ক্ষেত্রে “লাইফলাইন” হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এদিকে, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ভারতীয় রেল এখন অনেক বেশি অত্যাধুনিক হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি, ক্রমবর্ধমান যাত্রীদের সঠিক পরিষেবা দিতেও একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ। মূলত, বর্তমান সময়ে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে রেলের আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি, ইঞ্জিন থেকে শুরু করে ট্রেনের বগি পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রেই করা হয়েছে পরিবর্তন। শুধু তাই নয়, যাত্রীদের কম সময়ে নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত উন্নতিও ঘটানো হচ্ছে।

এমতাবস্থায়, আমরা অনেকেই লক্ষ্য করেছি যে, ট্রেনের ইঞ্জিনের ওপরের অংশে একটি বিশেষ কোড লেখা থাকে। এদিকে, অনেক সময়ে ওই কোডটি চোখে পড়লেও সেটির বিশেষত্ব জানেন না বহুজনই। বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা সেই বিষয়টিই বিস্তারিতভাবে উপস্থাপিত করব। মূলত, ওই কোডটি এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনের পাশাপাশি মালগাড়ির ইঞ্জিনেও লেখা থাকে।

জানিয়ে রাখি যে, ওই কোডটির একটি বিশেষ অর্থ রয়েছে। শুধু তাই নয়, এই কোড মারফত সংশ্লিষ্ট ট্রেনের ইঞ্জিন সম্পর্কে একাধিক তথ্য জানা যায়। প্রথমেই জানিয়ে দিই, রেলপথে মোট তিন ধরণের লাইন থাকে। রেলের ভাষায় এগুলিকে বলা হয় ব্রডগেজ, মিটারগেজ এবং ন্যারোগেজ। যদিও, ন্যারোগেজ শুধুমাত্র পাহাড়ি অঞ্চলেই দেখা যায়।

এমতাবস্থায়, ইঞ্জিনের ওই কোডে W লেখা থাকলে তার অর্থ হল সেটি মূলত, ব্রডগেজ লাইনের ইঞ্জিন। পাশাপাশি, Y-এর অর্থ হল ওই ইঞ্জিনটি মিটারগেজ লাইনে চলাচল করে। এছাড়াও, Z লেখা থাকলে বুঝে নিতে হবে যে সেটি ন্যারো গেজের ইঞ্জিন। সর্বোপরি, ইঞ্জিনটি কিসে চলছে সেটিও বোঝা যায় ওই কোডের মাধ্যমে।

Train Engine name means

যেমন, D লেখা থাকার অর্থ হল ইঞ্জিনটি ডিজেলে চলে। এদিকে, ওই কোডের তৃতীয় অক্ষরটি থেকে ইঞ্জিনটি কি পরিবহণ করে সেই সম্পর্কেও তথ্য পাওয়া যায়। অর্থাৎ, G লেখা থাকলে বুঝে নিতে হবে সেটি পণ্য পরিবহণে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও, ইঞ্জিনে থাকা ওই কোডের চতুর্থ এবং পঞ্চম অক্ষর দ্বারা ইঞ্জিনটির শক্তি অর্থাৎ হর্সপাওয়ার সম্পর্কে তথ্য জানা যায়।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর