বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সময় বড়ই পরিবর্তনশীল! কয়েক মাস পূর্বেও বিজেপিতে (Bharatiya Janata Party) থাকার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্য করে একের পর এক কটাক্ষ ছুড়ে দিতেন। কয়লা থেকে গরু পাচার এবং অন্যান্য একাধিক মামলায় তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা যুক্ত রয়েছে বলে দাবি করা সেই নেতা বর্তমানে ঘাসফুল শিবিরে। সেই কারনেই বদলেছে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি। এমনকি বর্তমান সময় দাঁড়িয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) কটাক্ষ করতেও ছাড়েন না তিনি। সেই ধারা বজায় রেখে এবার শুভেন্দুকে ঝাঁটা এবং কালো পতাকা দেখানোর পরামর্শ দিলেন তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার (Jay Prakash Majumdar)।
উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল পরিমাণ ভোটে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে চলেছেন একাধিক নেতা মন্ত্রীরা। সম্প্রতি সেই তালিকায় যুক্ত হন জয় প্রকাশ মজুমদার। একই সঙ্গে নিজের পুরনো দলকে বিঁধে একের পর এক কটাক্ষ ছুড়ে দেন তিনি। গতকাল জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ এলাকায় বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগদান করে তিনি বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী যদি উত্তরবঙ্গে আসে, তাহলে তাকে ঝাঁটা এবং কালো পতাকা দেখানো হোক।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জলপাইগুড়ির মালবাজারের মাল নদীতে হড়পা বান কাণ্ডে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাংলায়। জলের তীব্র গতিতে ভেসে গিয়ে প্রাণ হারান বহু মানুষ। এক্ষেত্রে প্রশাসনের গাফিলতি রয়েছে বলে কটাক্ষ ছুড়ে দেয় বিরোধী দলগুলি। যদিও এই ঘটনার দরুণ কয়েকদিন পূর্বেই উত্তরবঙ্গে পৌঁছে গিয়ে মৃতদের পরিবার এবং অন্যান্য একাধিক যুবক-যুবতীকে সরকারি চাকরি এবং আর্থিক সহায়তার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
একই সঙ্গে আগামী ৫ ই নভেম্বর ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাওয়ার কথা রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। সেই বিষয়টিকে সামনে এনে জয়প্রকাশ বলেন, “আগামী মাসে এখানে রাজনীতি করতে আসছেন বিরোধী দলনেতা। তাকে দেখলেই ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি ঝাঁটা এবং কালো পতাকা দেখান।”
এই প্রসঙ্গে এখনো পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারীর কোনরকম প্রতিক্রিয়া না মিললেও জয়প্রকাশ মজুমদারকে উদ্দেশ্য করে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এক সময় সতীর্থ থাকলেও বর্তমানে তাদের সম্পর্ক সাপে-নেউলে। স্বাভাবিকভাবেই এদিন তৃণমূল নেতাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েন নি দিলীপবাবু।
তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের বর্তমান অবস্থা শোচনীয়। বড় নেতারা ভয়ে মুখ খুলছে না। সেই কারণেই উটকো নেতা বাজার গরম করার জন্য একাধিক চেষ্টা করে চলেছে। মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নিজেদের নম্বর বাড়ানোর প্রচেষ্টা।”