বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এসএসসি (SSC), প্রাথমিক টেট (Primary Tet), গ্রুপ ডি-র মত একের পর এক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসে চলেছে। এক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তদন্তের দায়িত্বভার তুলে দেওয়ার পর থেকে শাসকদলের বহু নেতা মন্ত্রীরা ইতিমধ্যেই হেফাজতে। তবে বর্তমানে সিবিআইয়ের (CBI) ভূমিকা নিয়ে যে সন্তুষ্ট নন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly), তা ফের একবার স্পষ্ট করলেন তিনি। এক্ষেত্রে সিটের কয়েকজন সদস্য ঠিকমতো কাজ না করার জন্য প্রয়োজনে তাদের পরিবর্তন করার কথাও বলেছেন অভিজিৎবাবু। এদিন দুপুর আড়াইটের সময় মামলার শুনানি রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি ইস্যুতে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তের দায়ভার হাতে নেয় সিবিআই এবং ইডি। পরবর্তীতে এই সকল মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, মানিক ভট্টাচার্য, অশোক সাহাদের মত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মন্ত্রী এবং শিক্ষা আধিকারিকদের গ্রেফতার করে তদন্তকারী সংস্থা। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি কাণ্ডে একাধিক মামলা দায়ের করার পাশাপাশি এক্ষেত্রে বহুক্ষেত্রে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ পর্যন্ত দিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
তবে বর্তমানে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে ফের অসন্তোষ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। সম্প্রতি, একটি মামলার শুনানি চলাকালীন সিবিআইয়ের কোন আধিকারিক উপস্থিত না থাকায় অসন্তুষ্ট হন অভিজিৎবাবু। তিনি প্রকাশ্যে সিবিআই অফিসারদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও সেই সময়ে আদালতে উপস্থিত ছিলেন না কেউই।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি নিয়োগ সংক্রান্ত একটি দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি কাণ্ডে সিবিআই যে সকল প্রভাবশালী ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে চলেছে কিংবা সিবিআইয়ের নজরে রয়েছে, তাদেরকে প্রয়োজন মত গ্রেফতার করতে পারে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।”
একইসঙ্গে তিনি সিবিআইয়ের উদ্দেশ্যে তদন্তের গতি প্রক্রিয়া নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি বলেন, “যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের জেরা করে কি আরো কারোর নাম উঠে এসেছে? যদি উঠে আসে কিংবা কেউ তদন্তে সহযোগিতা করতে না চায়, তাহলে তাদেরকে গ্রেফতার করা যেতে পারে। যেটা ঠিক সেটা ঠিক আর যেটা ভুল সেটা ভুল। ঠিকভাবে যেন কাজ করা হয়।”
পরবর্তীতে অবশ্য কেন্দ্রের অ্যাসিস্ট্যান্ট সলিসিটর জেনারেলের তরফ থেকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে আশ্বস্ত করা হলেও এদিন ফের একবার সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। এমনকি, সিটের কয়েকজন সদস্য ঠিকমতো কাজ করছে না এবং প্রয়োজন হলে তাদের বদল করা যেতে পারে বলেও পরামর্শ দেন তিনি। উল্লেখ্য, এদিন দুপুর আড়াইটের সময় আদালতে শুনানি হওয়ার কথা। এক্ষেত্রে দুর্নীতি কাণ্ডে নয়া কোনো নাম উঠে আসে কিনা, সেদিকে নজর বাংলার।
দলের মধ্যেই অভিষেককে কোণঠাসা করছেন কে? সামনে বিস্ফোরক অভিযোগ…