বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের প্রকাশ্যে শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আজবনগরে বাঁধ মেরামতির দখলদারি নিয়ে তৃণমূলের (TMC) দুই নেতার মধ্যে বচসা। শেষমেষ সেই দ্বন্দ্বের জল গিয়ে পৌঁছালো মারামারি পর্যন্ত। ঘটনা ঘিরে এলাকায় তুমুল শোরগোল।
মেদিনীপুর (Medinipur) আজবনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের পান্না পূর্ব বুথের ডুও পঞ্চায়েত সদস্য মণ্টু ধাড়া ও দীপঙ্কর খাঁড়া। মণ্টু ধাড়ার জানায়, তার এলাকায় সেচ দফতরের উদ্যোগে একটি বাঁধ মেরামতির কাজ চলছিল। সেই কাজ দেখতে যান সেচ দফতরের ঠিকাদাররা। সেই সময়ই সেখানে হাজির হন, তৃণমূলের বুথ সভাপতি দীপঙ্কর খাঁড়া ও সহ-সভাপতি শক্তিপদ খাঁড়ার লোকজনেরা। এরপর বাঁধ মেরামতিকে কেন্দ্র করে শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে বচসা। এখানেই শেষ নয়! এরপর হাতাহাতিতে জড়ায় দুই পক্ষ। শুরু হয় তুমুল মারপিট। ঘটনায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি আহত হয়ে বর্তমানে ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে।
মণ্টু ধাঁড়ার অভিযোগ, “আমাদের এলাকায় সেচ দফতরের কাজ হবে বলে ঠিকাদাররা দেখতে গিয়েছেন। কীভাবে কাজ হবে দেখছিলেন। কোথা থেকে বুথ সভাপতি দীপঙ্কর খাঁড়া ও শক্তি খাঁড়া এসে বলছেন কাজটা তাঁরা করবেন। তাঁরাই দেখভাল করবেন। অথচ আমিও তৃণমূলের। লুটেপুটে খাবে বলে কাজ তাঁরা করবেন বলছেন। আমাকে মেরেছেন পর্যন্ত। আমি থানায় এসেছি অভিযোগ করতে।”
অন্যদিকে, হাসপাতাল বেডে শুয়ে দীপঙ্কর ধাঁড়া বলেন, “গত ২ তারিখ আমাদের বুথে সংসদ সভা ছিল। সেই সভাকে কেন্দ্র করে প্রধানের বিরুদ্ধে পোস্টার দেন মন্টু ধাঁড়া। এ নিয়ে সংসদ সভা বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই শুক্রবার এক ঠিকাদার আমাকে ফোনে জানান, নদী ভাঙনের একটা কাজ হচ্ছে দেখে যেতে। আমি যেতেই মণ্টু বলেন, সংসদ সভা করতে দিইনি, এখন এখানে এসে আমাদের ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলছিস? বলতে বলতে আমাকে মারধর করে। আমার চশমাটা ভেঙে দেয়। পিঠে এত ব্যথা যে রাতে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।”
সবমিলিয়ে শাসকদলের দুই নেতার মারামারির এই ঘটনায় শোরগোল পরে গেছে গোটা এলাকায়। ঘটনাকে ঘিরে শাসক দলকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট এবিষয়ে বলেন ,’ নিজেদের মধ্যে দলাদলীর জেরেই এই সব ঘটনা হচ্ছে। আর খালি বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তৃণমূল চোখ বন্ধ করলেই তো বিজেপি দেখে। ভয় পায়। ‘