বিতর্কের জের, ১৭ বছর পর আচমকাই বন্ধ ‘রান্নাঘর’! কেঁদে ভাসালেন সুদীপা

বাংলাহান্ট ডেস্ক: জল্পনাই সত‍্যি হল শেষমেষ। এক যুগ পার করে শেষ হল জি বাংলার ‘রান্নাঘর’ (Rannaghor)। সুদীপা চট্টোপাধ‍্যায়ের (Sudipa Chatterjee) সঞ্চালনার গুণে এক রকম তাঁরই রান্নাঘর হয়ে উঠেছিল। বিতর্ক, নিন্দা হলেও সুদীপার সঞ্চালনার বিশেষ ধরণ, তাঁর আন্তরিক কথাবার্তা পছন্দ করতেন অনেকেই। এবার থেকে আর পর্দায় দেখা যাবে না সুদীপাকে।

দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে চলার পর বন্ধ হল রান্নাঘর। পুজোর আগেই ৫০০০ পর্ব অতিক্রম করেছে এই শো। অতিথিদের নিয়ে ধুমধাম করে উদযাপন করেছিলেন সুদীপা। কয়েক মাস যেতে না যেতেই ইতি টানা হচ্ছে রান্নাঘরে। শোটির শেষ হয়ে যাওয়ার খবরে হতভম্ব দর্শকরাও।

Sudipa chatterjee
আচমকা এতদিনের পুরনো শো শেষ করে দেওয়ার কারণ কী? অনেকদিন ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, সোশ‍্যাল মিডিয়ায় বারংবার বিতর্কের শিকার হওয়ায় সঞ্চালকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে সুদীপাকে। কিন্তু পরে জানা গিয়েছিল পুরোটাই গুজব। তবে হঠাৎ কী কারণে শেষ হয়ে যাচ্ছে রান্নাঘর?

আসলে জি বাংলায় খুব শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে নতুন নন ফিকশন শো ‘ঘরে ঘরে জি বাংলা’। রান্নাঘর এর জায়গা নেবে ওই শো। অগত‍্যা বিদায় নিতে হচ্ছে সুদীপাকে। দীর্ঘ ১৭ বছরের সফর শেষ হয়ে গেল। স্বাভাবিক ভাবেই মন খারাপ সুদীপার। তবে তিনি যাতে বেশি কান্নাকাটি না করেন তার জন‍্য বিরাট আয়োজন করা হয়েছিল শোয়ের নির্মাতাদের তরফে।

সংবাদ মাধ‍্যমকে সুদীপা জানান, কাঞ্চন মল্লিক অতিথি হয়ে এসেছিলেন শেষ পর্বে। হাসি মজায় যাতে অন্তিম পর্বের শুটিং হয়ে যায়। সুদীপার ডাক নাম পিঙ্কি, তাই গোলাপি রঙের গোলাপ ফুলের তোড়া উপহার দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। ছিল সুদীপার প্রিয় সমস্ত খাবার দাবার। সেটের বাইরে প‍্যান্ডেল প্রায় ১৮০ জনকে পোলাও, চিংড়ি, মাটন খাওয়ানো হয়েছে।

জি এর সবথেকে পুরনো নন ফিকশন শো গুলির মধ‍্যে অন‍্যতম রান্নাঘর। শো টি যখন শুরু হয়েছিল তখন চ‍্যানেলের নামও অন‍্য ছিল। জি বাংলার নাম ছিল আলফা বাংলা। তারপর থেকে বদলেছে অনেক কিছুই। কত সিরিয়াল এসেছে, গিয়েছে। কোনোটা চার-পাঁচ বছর, কোনোটা আবার চার-পাঁচ মাসে শেষ হয়ে গিয়েছে। প্রথম দিন থেকেই রান্নাঘরের সঙ্গে যুক্ত সুদীপা।

অবশ‍্য বদলে গিয়েছেন তিনিও। শো যখন শুরু হয় তখন তিনি মুখোপাধ‍্যায়। তারপর তাঁর বিয়ে হয়েছে, কোল আলো করেছে ছোট্ট আদিদেব। সুদীপা এর আগে জানিয়েছিলেন, রান্নাঘর যখন শুরু হয়েছিল তখন একটা ছোট্ট বাথরুমের মতো ঘর ছিল। এসিও ছিল না। বাড়ি থেকে শিলনোড়া, বঁটি এনে রান্না করতে হয়েছিল। ধীরে ধীরে সাফল‍্য পেয়েছে রান্নাঘর। এতদিনের সেটকে ছেড়ে যেতে কষ্ট তো হবেই।

Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর