মেয়েদের জন্য ২৯ বছর পর আবার বিয়ে করলেন কেরলের দম্পতি, কারণ জানলে গর্ব করবেন

বাংলাহান্ট ডেস্ক: আমাদের আশেপাশে মাঝে মধ্যেই নানারকম অদ্ভুত ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। গতকাল তেমনই একটি ঘটনা ঘটতে দেখা গেল। বলা হয়, ভালবাসার কোনও বয়স হয় না। সেটিই যেন আবার প্রমাণ করলেন কেরলের (Kerala) এক দম্পতি। দীর্ঘ ২৯ বছর বিবাহিত থাকার পর পুনরায় বিয়ে করলেন তাঁরা। কিন্তু এর পিছনে একটি বড় কারণও রয়েছে। গোটা ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এমনকী নেটিজেনদের মিশ্র প্রতিক্রিয়াও পাওয়া গিয়েছে এটি ঘিরে।

মালয়ালি সিনেমার অভিনেতা ও আইনজীবী হিসেবে সি শুক্কর (C Shukkur) খুবই পরিচিত মুখ কেরলে। তাঁর স্ত্রী শিনাকেও অনেকেই চেনেন। কারণ তিনি মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন সহ-উপাচার্য। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিন কাসরগড় জেলার এক ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের অফিসে গিয়ে আবারও বিয়ে করলেন তাঁরা। সঙ্গে ছিলেন তাঁদের তিন কন্যা। দীর্ঘ ২৯ বছর সংসার করার পর এমন অদ্ভুত সিদ্ধান্ত কেন নিলেন দম্পতি?

c shukkur

মেয়েদের সাক্ষী রেখে গতকাল দ্বিতীয়বারের জন্য বিয়ে করলেন তাঁরা। শুক্কর ও শিনার প্রথমবার বিয়ে হয়েছিল ১৯৯৪ সালে কাজি অফিসে মুসলিম ম্যারেজ অ্যাক্ট মেনে। ২৯ বছর একসঙ্গে থাকার পর ফের তাঁরা বিয়ে করলেন। কিন্তু এ বার স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট মেনে। সেজন্য তাঁরা একমাস আগেই ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের অফিসে নোটিস জমা দিয়ছিলেন। এই সিদ্ধান্তের পিছনে এক অনন্য কারণ জানিয়েছেন শুক্কর।

c shukkur 2

শুক্করের মতে, তিন মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের সন্তানদের যাতে বাবা-মায়ের অবর্তমানে সম্পত্তি পেতে কোনও সমস্যা না হয়, সেজন্যই আইনি পথে দ্বিতীয়বার বিয়ে করলেন দম্পতি। কে শুক্কর আরও জানিয়েছেন, মুসলিম পারসোন্যাল ল অনুযায়ী, মেয়েরা পরিবারের সম্পত্তির দুই তৃতীয়াংশ পাওয়ার অধিকারী। তার বেশি পাবেন না। পরিবারে যদি পুরুষ সদয় না থাকে তাহলে বাকি অংশ মৃতের ভাইয়ের কাছে যাবে।

এই নিয়মেই আপত্তি রয়েছে শুক্কর ও শিনার। তাঁরা চান তাঁদের মেয়েরা তাঁদের পুরো সম্পত্তিই পাক। সেই কারণেই স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্টের অধীনে দ্বিতীয়বার বিয়ে করলেন তাঁরা। গতকাল ছিল আন্তর্জাতিক নারী দিবস। বিয়ের জন্য এই বিশেষ দিনকেই বেছে নিয়েছিলেন দম্পতি। শুক্কর এ নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘কোনও ধর্মীয় বিধানকে নস্যাৎ করার উদ্দেশ্যে এই সিদ্ধান্ত নেননি তাঁরা। সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।’ 

Subhraroop

সম্পর্কিত খবর