বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ শহিদ মিনার ময়দানে ছাত্র-যুব সমাবেশে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। অন্যদিকে, কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ অর্থের দাবি নিয়ে আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অন্যদিকে, কলকাতার রাজপথে বামফ্রন্ট, বিজেপি, কংগ্রেসও। সবমিলিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
ধর্না মঞ্চে একটি উঁচু জায়গায় বসে রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর একদিকে রয়েছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। অপরদিকে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। পাশাপাশি মঞ্চে রয়েছেন শাসকদলের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীরা। আছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মনোজ তিওয়ারি, দোলা সেন, শশী পাঁজা, অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুভদ্রা চট্টোপাধ্যায় সহ আরও অনেকে।
আজ দুদিনের ধর্নায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দুপুর ১২টা নাগাদ শুরু হয়েছে ধর্না। রাজ্য রাজনীতির নজর আজ সেদিকেই। জানা গিয়েছে টানা ৩০ ঘন্টা ধর্না চালাবেন তিনি। তবে এরই মধ্যে যাতে মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত প্রশাসনিক কাজ কাজ চালিয়ে যেতে পারেন, সরকারি কাজ-কর্মে কোনো অসুবিধা না হয় তাই রেড রোডেই তৈরি হয়েছে অস্থায়ী অফিস।
অন্যদিকে, তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ডো অভিষেক বন্দোপাধ্যায় সভা থেকে বিরোধীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দেবেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। মমতার মঞ্চেও পা রাখবেন অভিষেক? আপাতত এই বিষয়ে কোনো নিশ্চিত খবর মেলেনি। তবে মমতা যেখানে ধর্না মঞ্চের কিছুটা দূরেই তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র ও যুব সংগঠনের সভায় ভাষণ দেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর ধর্না শুরু হতেই একে একে সরব বিরোধীরা। এই প্রসঙ্গে বিজেপির দিলীপ ঘোষ বলেন, “উনি (মমতা) এক জায়গায় ধরনা দিচ্ছেন। অন্য জায়গায় হুমকি দিচ্ছেন ভাইপো। কেন কলকাতায় আর সভা করার জায়গা নেই? সবাই একটা আশঙ্কা করছেন যে একটা ঝামেলা হতে পারে। কারণ উনি গুন্ডাদের নিয়ে চলেন। ডায়মন্ড হারবার থেকে গুন্ডা দিয়ে আসবেন।”
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি সহ কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা চুরির অভিযোগে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে বিজেপিও। এদিন ধর্না শুরু হতে না হতেই কোন জায়গা অথবা কোন পার্টি অফিসের ভিডিও পোস্ট করে টুইট করেছেন বিজেপির সুকান্ত মজুমদার। তিনি লিখেছেন,’তৃণমূল কর্মীরাই পার্টি অফিস থেকে সরিয়ে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রীর ছবি’। যদিও ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি বাংলাহান্ট টিম। সব মিলিয়ে রাজ্য-রাজনীতিতে ক্রমশ্যই চড়ছে পারদ।