পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা সিভিক ভলান্টিয়ারদের উপর!

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election) আর কয়েক মাস পরই। বুধবারই সব জেলা শাসক ও জেলা পঞ্চায়েত আধিকারিকদের বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission) জানিয়ে দেয়, কারা পঞ্চায়েতে প্রার্থী হতে পারবেন, কারা পারবেন না।

রাজ্য নির্বাচন কমিশন পরিষ্কার জানায়, সিভিক ভলান্টিয়াররা (Civic Volunteers) কোনওভাবেই পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হতে পারবেন না। সিভিকরা রাজ্য সরকারের স্থায়ী কর্মচারী নন। কিন্তু কমিশনের দাবি, তাঁরা স্থায়ী কর্মী না হলেও রাজ্য সরকার চুক্তিভিত্তিতে তাঁদের নিয়োগ করেছে। সেই নিয়োগের কিছু শর্তও রয়েছে। তার জেরেই পঞ্চায়েত ভোটে তাঁরা প্রার্থী হতে পারবেন না।

election

ঠিক এই কারণে সরকারের প্রায় সমস্ত রকমের চুক্তি ভিত্তিক কর্মী পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হতে পারবেন না। যেমন গ্রাম রোজগার সেবক, শিক্ষা বন্ধু, পঞ্চায়েতের ঠিকা কর্মী বা রাজ্য সরকারের চুক্তি ভিত্তিক সমস্ত ঠিকা কর্মী। সাধারণত শিক্ষকদের জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচনে প্রার্থী হতে কোনও বাধা নেই।

রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষক, হাই স্কুল শিক্ষক, প্যারা টিচাররা পঞ্চায়েতে প্রার্থী হতে পারেন। অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, লেকচারার, গেস্ট লেকচাররাও পঞ্চায়েতে প্রার্থী হওয়ার জন্য যোগ্য।

সংবিধান অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তির ২১ বছর বয়স হলেই পঞ্চায়েতে প্রার্থী হওয়া যায়। তবে পঞ্চায়েত স্তরে প্রার্থী বাছাই করতে গিয়ে অনেক সময়ে সমস্যা হয়। নিচু তলায় অনেকের ধারণা নেই যে কারা প্রার্থী হওয়ার যোগ্য কারা যোগ্য নন। রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, গ্রামের আশা কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, শিশু শিক্ষা সহায়করাও প্রার্থী হতে পারবেন। তা ছাড়া ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের কর্মীদেরও প্রার্থী হতে বাধা নেই।

X