বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজভবন! সেই নিয়ে অপার কৌতূহল সাধারণ মানুষের মনে। সাদা প্রাসাদোপম বাড়ির পেল্লায় দরজা পেছনে আছে টা কী? কেন আম জনতার জন্য দুয়ার খোলে না রাজভবনের? এই নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই। তবে এবার এই সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন আপনারা নিজেই। ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। নববর্ষের সকালেই রাজভবনের (Raj Bhavan) দরজা খুলে দেওয়া হল সাধারণ মানুষের জন্য।
কিছুদিন আগেই রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন রাজভবন হয়ে যাবে জনরাজভবন। যেমনি কথা তেমনিই কাজ। পয়লা বৈশাখ, বাংলা নববর্ষের প্রাক্কালে সেই উদ্যোগের সূচনা করলেন রাজ্যপাল। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু যখন কলকাতায় এসেছিলেন, তখন থেকেই এই উদ্যোগ শুরু হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে রাজভবনের প্রতীকী চাবি তুলে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। আর আজ আনুষ্ঠানিকভাবে জনসাধারণের জন্য খুলে গেল ‘রাজ’ দরজা।
সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং পর্যটনকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর সুবাদেই এবার থেকে রাজভবনের ভিতরের বিভিন্ন জায়গা, নীচের ঘর, সুইমিং পুল, বাগান, ঝুলন্ত সেতু, রাজভবনের গ্রন্থাগার ঘুরে দেখতে পারবেন আম জনতা। তবে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বেশ কিছু জায়গাকে এই তালিকা থেকে আপাতত বাদ রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
রাজভবনের কালো রেলিং দেওয়া গেটে লাল সাদা কাপড়ে বড় বড় করে টাঙিনো হয়েছে নববর্ষের শুভেচ্ছা বার্তা। তার দুধারে বাংলার পটচিত্র। তালপাতা দিয়ে বানানো লাল ফিতের ঝালর দেওয়া হাতপাখা আর গামছা দিয়ে ফুলে উঠেছে সাজ। আজ সকাল ৭ টায় খুলে যায় দ্বার। সকালেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য পেশ করেন সিভি বোস। এরপর পদযাত্রার সূচনা করেন তিনি। একটি সাইকেল যাত্রাও আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি এনসিসি-র সদস্যরা হেঁটে যাবেন রেড রোডে।
অন্যদিকে, আজ বাংলা নববর্ষের শুভ উপলক্ষ উদযাপনের জন্য, রাজভবন তরফে বিকাল ৫টা থেকে একটি কবিতা, সঙ্গীত এবং ঐতিহ্যের আবৃত্তিরও আয়োজন করা হয়েছে। সকালে উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গেও কথাও বলেন রাজ্যপাল। সবটা তিনি নিজেই দাঁড়িয়ে করছেন। রাজ দুয়ার খুলতে না খুলতেই সকাল থেকে রাজভবনের সামনে ভিড় পড়েছে সাধারণ মানুষের। ভেতর থেকে রাজভবন দেখার জন্য উচ্ছাসিত সকলেই।