বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলা জুড়ে চলছে ‘তৃণমূলে নব জোয়ার’ কর্মসূচী। পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করে উত্তরবঙ্গের সুদূর কোচবিহার (Coochbehar) থেকে শুরু হয়েছে শাসকদলের জনসংযোগ কর্মসূচী। যার মাধ্যমে রাজ্যের প্রতিটি পঞ্চায়েতে পৌঁছে যাবেন তৃণমূলের (Trinamool Congress) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। একদিকে যেমন যুবরাজের কর্মসূচী নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই অন্যদিকে কর্মসূচীর শুরুতেই উত্তরবঙ্গে বিড়ম্বনায় তৃণমূল! তুফানগঞ্জে (Tufanganj) পাইকারি হারে গণইস্তফা ৩২ তৃণমূল নেতার।
অভিযোগ, দল করেও মিলছে না গুরুত্ব। তাই রাগে অভিমানে বুথ সভাপতি, অঞ্চল সাধারণ সম্পাদক, ব্লক কমিটির সদস্য সহ মোট ৩২ শাসকদলের নেতা দিলেন ইস্তফা। একদিকে রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন, অন্যদিকে অভিষেক সফরের মধ্যেই এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের সমালোচনায় সরব বিরোধী গেরুয়া শিবির।
গতকাল বিকেলে তুফানগঞ্জ-১ নম্বর ব্লকের ধলপল-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একজোটে l পদত্যাগ করেন ওই কর্মীরা। তাদের মধ্যে একজন বলেন, “দলে থেকেও পুরনো কর্মীরা গুরুত্ব পাচ্ছেন না। দমবন্ধ হয়ে আসছে। যে পরিকাঠামো নিয়ে দল চলছে তা মেনে নিতে পারছি না। যারা এই এলাকার দায়িত্বে রয়েছে তাদের কাছে আমরা অবহেলিত ও বঞ্চিত।”
প্রসঙ্গত, দিনহাটা মাথাভাঙ্গার পর ‘তৃণমূলে নব জোয়ার’ জনসংযোগ নিয়ে বুধবার তুফানগঞ্জের চিলাখানা ও ক্রিয়া সংস্থার মাঠে রাত্রি যাপন করবেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। তবে তার ঠিক একদিন আগে দলীয় নেতা-কর্মীদের পদত্যাগের ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে শাসকদল।
গণইস্তফার ঘটনাকে হাতিয়ার করে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি যুগলকিশোর দাস বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ধলপল এলাকা থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে তৃণমূল। মানুষ ওদের পাশে নেই। তাই দল ছাড়ছে তৃণমূল নেতারা।” যদিও বিজেপির দাবি মানতে নারাজ ধলপল অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি পরিমল দাস। তিনি বলেন , “এ বিষয়ে এখনও কিছু জানি না। আমার কাছে পদত্যাগের কোনও খবর নেই।”