বাংলা হান্ট ডেস্ক : তুলকালাম রাজ্য। পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipore) ময়নায় বিজেপি (BJP) কর্মীকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ বাকচা এলাকা। স্থানীয় সূত্রে খবর, নিহতের নাম বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়্যা। এই ঘটনায় রাজ্যের শাসকদলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি। খবর প্রকাশ্যে আসার পরই মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিজেপি নেতা তথা বিধান সভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তেরও দাবি জানান তিনি। ইতিমধ্যেই বিজেপি কর্মী খুনের (BJP Supporters Murder Case) তদন্তে নেমেছে ময়না থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির নাম মিলন ভৌমিক। তিনি গোড়ামহল এলাকার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য ও প্রাক্তন বুথ সভাপতি। বিজেপি কর্মীর খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার দাবি তুলে মোট ৩৪ জনের নামে ময়না থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার। তদন্তে নেমে মিলনকে আটক করে পুলিস। অভিযোগ পত্রে ২৬ নম্বরে নাম রয়েছে ধৃতে মিলনের। জানা গিয়েছে, বুধবার রাত্রিবেলা মেয়ের বাড়ি বলাপণ্ডা থেকে পুলিস আটক করে তাঁকে। মেয়ের বাড়িতেই লুকিয়ে ছিলেন মিলন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে।
জানা যাচ্ছে, মিলন ভৌমিক এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত। পরিবারের অভিযোগ, দেহ সনাক্ত করার সময়ও অসহযোগিতা করেছে হাসপাতাল। এমনই অভিযোগ মৃতের ছেলের। তিনি বলেন, ‘আমি চাই মহামান্য আদালতের রায় অনুযায়ী দ্রুত যেন কমান্ড হাসপাতালে বাবার দেহ গিয়ে পৌঁছয়। ভাই পুলিসের পায়ে ধরে কেঁদেছে। তিন মিনিট ধরে ওরা বাবাকে মেরেছে। সেই সময় পুলিস যদি পৌঁছে যেত বাবাকে হয়ত বাঁচানো যেত।’
ময়নার বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দার কথায়, সোমবার বিকেল ৫টা নাগাদ বাকচায় বিজয়কৃষ্ণকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়। অভিযোগের আঙুল ওঠে শাসকদল তৃণমূলের দিকে। ঘটনার দিনই এলাকাস্থলে পৌঁছন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘এর শেষ দেখে ছাড়ব।’ এমনকী ঘটনার প্রতিবাদে বনধ ও পথ অবরোধেরও ডাক দেন তিনি।
এদিকে, ঘটনার তিন দিন পর এখনও উত্তপ্ত পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না। শুভেন্দু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল থেকে ১২ ঘণ্টার বন্ধের ডাক দিয়েছিলেন। বিজেপির ডাকা বন্ধ সফল করতে ময়না বিধানসভার বিভিন্ন এলাকায় পথ অবরোধে নেমেছিলেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পুলিসের গাড়ি ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। পরে অবশ্য ময়না থানার পাশাপাশি জেলা সদর থেকে আসা বিরাট পুলিসবাহিনী পথে নেমে ব্যারিকেড সরিয়ে অনেকগুলি রাস্তা খুলে দেয়।