বাংলাহান্ট ডেস্ক : ফল আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ভারতীয় উপমহাদেশে বিভিন্ন ধরনের ফলের চাষ হয়ে থাকে। বিভিন্ন ফলের উপকারিতা বিভিন্ন রকম। এই ফল গুলির মধ্যে অন্যতম পেঁপে (Papaya)। ভিটামিনের সমৃদ্ধ এই ফল আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। অসাধারণ হজম ক্ষমতা রয়েছে পেঁপের মধ্যে। এছাড়াও পেঁপেতে থাকে ভিটামিন ই।
ভারত উপমহাদেশে যত রকমের ফল জন্মায় তার মধ্যে সবথেকে বেশি ফলন হয় পেঁপের। এই পেঁপে খেলে ভালো থাকে আপনার চুল ও ত্বক। সারা বিশ্বের মধ্যে ভারতের সবথেকে বেশি পেঁপে উৎপন্ন হয়। ভারতে সারা বিশ্বের ৪৬ শতাংশ পেঁপে উৎপন্ন হয়। গোটা দেশে সব থেকে বেশি পেঁপে উৎপন্ন হয় কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে।
মধ্যপ্রদেশের (Madhyapradesh) ছিন্দওয়ারার বাসিন্দা মধুসূদন টোনপে পেঁপের চাষ করে খুবই বিখ্যাত হয়ে উঠেছেন। কুড়ি বছর ধরে তার ছয় একরের একটি জমি নুড়ি পাথরে ভর্তি ছিল। সেই জমিকে চাষযোগ্য করে তোলার জন্য সেখানে তিনি পেঁপে চাষ শুরু করেন। এরপর তার সেই ছয় একর জমিতে ফলতে থাকে পেঁপে।
জানা গিয়েছে এই কৃষক কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে গিয়ে রীতিমত প্রশিক্ষণ নিয়ে এই চাষ শুরু করেন।
এরপর এই কৃষক এক বিজ্ঞানীর পরামর্শে তার ছয় একর জমিতে তাইওয়ান ৭৮৬ জাতের ৪,৮০০টি পেঁপে গাছ লাগান। প্রথমবার এই চাষের জন্য তার খরচ হয় ছয় লাখ টাকা। এরপর বর্তমানে এই পেঁপে চাষ করে মধুসূদনের বার্ষিক ৩৫ লক্ষ টাকা মতো আয় হয়। তিনি বহু লোককে তার এই চাষের কাজে লাগিয়েছেন। বহু মানুষের কর্মসংস্থান করেছেন এই কৃষক।
মধুসূদনের সাফল্যকে সম্মান দিয়ে সরকার তাকে পুরস্কারে ভূষিত করেছে। গাছ রোপনের দশ থেকে বার মাস পর ফল দিতে শুরু করে পেঁপে গাছ। এই গাছের বীজ রোপন করতে হয় জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে। পেঁপে গাছ চাষের জন্য মাটির pH ৬.৫ থেকে ৭.৫ এর মধ্যে থাকতে হবে। বেশি গরম বা ঠান্ডায় এই গাছ বাঁচে না। এই গাছ ১০ থেকে ২৬ ডিগ্রির মধ্যে বৃদ্ধি পায়।