বাংলা হান্ট ডেস্ক : প্রেমের কাছে জগতের সমস্ত বাধাই তুচ্ছ। এই অমোঘ টানকে অস্বীকার কর এমন নর বা নারী ইহজগতে নেই। মানুষ একবার প্রেমে পড়লে না মানে কাঁটাতারের বেড়া আর না মানে পথের দূরত্ব। কিছুদিন আগেই যেমন পাকিস্তানি মহিলা সীমা এবং ভারতের শচীনের প্রেমকাহিনি নিয়ে সরগরম ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর এবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে অঞ্জু।
এই দুটি ক্ষেত্রে তফাৎ এটুকুই যে, অঞ্জু হল ভারত থেকে প্রেমিকের আকর্ষণে পাড়ি দিয়েছেন পাকিস্তানে। জানা যাচ্ছে রাজস্থানের ভিওয়াড়ি জেলার বাসিন্দা হলেন দুই সন্তানের জননী অঞ্জু। স্বামী একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী। অঞ্জুও একটি সংস্থায় বায়োডাটা এন্ট্রির কাজ করতেন। ভাড়াবাড়িতে স্বামী, সন্তান ও এক ভাইকে নিয়ে বাস ছিল তার।
বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, কিছুদিন আগেই অঞ্জু তার স্বামীকে জানান যে, তিনি জয়পুরে যাবেন। সেই মত বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। যদিও তার গন্তব্য জয়পুর নয়, বরং ছিল পাকিস্তান। কারণ সেখানেই রয়েছে তার প্রেমিক নাসারুল্লা। জানা যাচ্ছে, তাদের পরিচয় হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপর বন্ধুত্ব যে কবে প্রেমে পরিণত হয় সেটা নিজেও বুঝতে পারেনি ঐ বন্ধু।
গত রবিবার সংবাদমাধ্যমের সাহায্যে অঞ্জুর স্বামী অরবিন্দ জানতে পারেন জয়পুর নয়, তাঁর স্ত্রী বছর সাতাশের যুবকের প্রেমের টানে পৌঁছে গিয়েছেন পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিমে খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলে। তিনি জানান, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ রেখে চলেছিলেন অঞ্জু। এরপর রবিবার বিকেল ৪ টার দিকে তিনি জানান, তিনি লাহোরে আছেন এবং দু-তিন দিনের মধ্যে ফিরে আসবেন।
তবে পাকিস্তান থেকে ফেরা অতটাও সহজ নয়। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে তাকে আটক করে পুলিশ। সেখানে তার নথিপত্র খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই বিষয়ে অরবিন্দ জানান, ২০২০ সালে পাসপোর্ট করান অঞ্জু। কর্মসূত্রে বিদেশ যেতে চাইতেন তিনি। তবে জয়পুরে যাওয়ার নাম করে স্ত্রী যে পাকিস্তানে চলে যাবেন তা তিনি ভাবতেও পারেননি। স্ত্রী আবার সংসারে ফিরবেন, এই আশাতেই বুক বাঁধছেন অরবিন্দ।