বাংলাহান্ট ডেস্ক: হাসপাতালে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ফুসফুসে সংক্রমণ বিগত কিছুদিন ধরে শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya)। সারা দিন ধরেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে হাসপাতালে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ভিড়। এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দল, মত ভুলে বুদ্ধদেবের আরোগ্য কামনা করছেন বিরোধী দলের নেতানেত্রীরাও। সেখানে একমাত্র ব্যতিক্রমী সঙ্গীতশিল্পী কবীর সুমন (Kabir Suman)।
ধনঞ্জয় কাণ্ড টেনে এনে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় একটি কবিতা লিখেছেন তিনি, ধনঞ্জয়ের গান। সেখানে ‘প্রৌঢ় ফাঁসুড়ে’র উল্লেখ করেছেন প্রবীণ সঙ্গীতশিল্পী। কারোর নাম উল্লেখ না করলেও সুমনের ইঙ্গিত যে বুদ্ধদেবের দিকেই তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি কারোরই। কবিতার ছত্রে ছত্রে বিষ্ফোরণ ঘটিয়েছেন কবীর সুমন।
ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের ফাঁসির আগের রাতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে কবিতার একটি জায়গায় তিনি লিখেছেন, ‘নার্সিং হোম ফাঁসির মঞ্চ নয়, গান স্যালুটের বুঝি বা সময় হয়’। নামজাদা ব্যক্তিত্বদের গান স্যালুট কখন দেওয়া হয় সেদিকেই ইঙ্গিত করে সুমন বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আর যাই হোক, আরোগ্য কামনা তিনি করেননি।
শুধু তাই নয়, তিনি আরো লিখেছেন, ‘হাজরার মোড়ে মেরেছিলে যেন কাকে, হাত নাড়ছ কি ইদানিং দেখে তাকে’। বাম আমলে বিরোধী নেতাদের উপরে লাঠিচার্জের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনেছেন কবীর সুমন। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুদ্ধদেবকে দেখে এসে জানান, তাঁকে দেখে হাত নেড়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কবিতায় সেটাই উল্লেখ করেছেন সঙ্গীতশিল্পী।
বুদ্ধদেবের আমলে ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের ফাঁসি কলঙ্কের দাগ হয়ে রয়ে গিয়েছে। এখন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অসুস্থতার সময়ে সেই বিতর্কিত অধ্যায়ই আবারো টেনে আনলেন কবীর সুমন। তাঁর এই পোস্টে বিতর্কের পাশাপাশি অনেকের সমর্থনও এসেছে। ক্ষমার অযোগ্য ঘটনা ছিল সেটা, এমনি মন্তব্য করেছেন অনেকে।
তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর মিলেছে, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য আগের থেকে সুস্থতার লক্ষণ দেখাচ্ছেন। আগের থেকে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বেড়েছে তাঁর। তরল জাতীয় খাবারও খাচ্ছেন তিনি। পরিস্থিতি এমনি থাকলে শীঘ্রই তাঁকে বাড়ি ফেরানোর চিন্তাভাবনাও করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।