বাংলাহান্ট ডেস্ক : কংসাবতী নদীর উপর অবস্থিত মেদিনীপুরের দেশপ্রাণ বীরেন্দ্র সেতু তথা মোহনপুর সেতু (Mohanpur Bridge) আজ রাত থেকে বন্ধ হতে চলেছে। সেতুর কাজের জন্য ৯৬ ঘন্টা এই সেতুর উপর যান চলাচল বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র এই সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করবে অ্যাম্বুলেন্স। জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন বীরেন্দ্র সেতুর ভার বহন ক্ষমতা অর্থাৎ লোড টেস্ট করা হবে।
এইজন্য যান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ১৩টি ডাইভারশন পয়েন্ট থাকছে এই সময়কালে। পূর্ব মেদিনীপুরের মেছোগ্রাম এগুলির মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। পুলিশে প্রহরা থাকবে সবকটি পয়েন্টেই। এছাড়াও পুলিশ বাড়তি নজরদারি চালাবে যাতে খড়্গপুর ও মেদিনীপুরে যান চলাচলে কোনও অসুবিধা না হয়।
মেদিনীপুর থেকে কলকাতা আসতে হলে ধরমা-কেশপুর-লঙ্কাগড়-রাজনগর-বকুলতলা-খুকুরদহ হয়ে মেছোগ্রামের জাতীয় সড়ক ধরতে হবে। তবে সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়বেন খড়গপুর থেকে মেদিনীপুরে আসা মানুষজন। খড়গপুর শহর থেকে মেদিনীপুরের দূরত্ব প্রায় ১৩ কিলোমিটার।
সেখানে ঘোরা পথে আসতে গেলে খড়গপুরের চৌরঙ্গী থেকে মেদিনীপুর পৌঁছতে ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি পথ অতিক্রম করতে হবে। সেক্ষেত্রে খড়গপুর চৌরঙ্গী থেকে জাতীয় সড়ক ধরে প্রথমে পৌঁছাতে হবে মেছোগ্রাম। এরপর সেখান থেকে মেদিনীপুর পৌঁছাতে গেলে বিকল্প পথ বাছতে হবে।
দাসপুরের খুকুরদহ-রাজনগর-লঙ্কাগড়-কেশপুর হয়ে যেতে হবে। খড়গপুর শহর থেকে মেদিনীপুর গেলে বীরেন্দ্র সেতু দিয়ে যেতে হয়। সেক্ষেত্রে অতিক্রম করতে হত ১৩ কিলোমিটার পথ। কিন্তু এই কদিন ড্রাইভারশন রুট অর্থাৎ মেচোগ্রাম হয়ে মেদিনীপুর যেতে অতিক্রম করতে হবে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার পথ।
জেলা শাসক ও জেলা পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে প্রশাসনের আধিকারিকরা এক কথায় মেনে নিয়েছেন এই ঘুর পথের ফলে সাধারণ মানুষের সমস্যা প্রকট হবে। তাই বাড়তি নজরদারি চালানো হবে কংসাবতী নদীর উপরেও। পুলিশ জানাচ্ছে বিকল্প হিসাবে সাধারণ মানুষ নৌকাও ব্যবহার করতে পারেন এই ৯৬ ঘন্টা।