বাংলা হান্ট ডেস্ক : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) ঘটনার ঘনঘটা। প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপের রহস্যমৃত্যুর পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্যের হাওয়া। ছাত্রমৃত্যুর রহস্যে রঙ লেগেছে রাজনীতিরও। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ আর একটার পর একটা ধরপাকড়ে দুশ্চিন্তগ্রস্ত হয়ে আছে যাদবপুরের বাকি পড়ুয়ারাও। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় জড়িত ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তবে ঘটনা এখন কেবল পুলিশ আর যাদবপুরের পড়ুয়াদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। তাতে লেগেছে রাজনীতির রঙ। সিসিটিভি নিয়ে চলছে জোর তরজা। কর্তৃপক্ষ যখন হস্টেল ও ক্যাম্পাসে সিসিটিভি লাগানোর সিদ্ধান্তে অনড়, তখন সেই সিদ্ধান্তের ফের বিরোধিতায় ছাত্র সংগঠন এসএফআই ৷ অন্যদিকে আবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাবি, অবিলম্বে সিসিটিভিতে মুড়ে ফেলা হোক গোটা হস্টেল চত্বর।
সবমিলিয়ে সিসিটিভি তরজায় নতুন করে উত্তাপ বেড়েছে যাদবপুরে। আর তারমধ্যেই বড়সড় অভিযোগ এসেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফ থেকে। তাদের দাবি, রাজ্যের তথা দেশের অন্যতম খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ে নাকি চলে মধুচক্রের ব্যবসা। পড়াশোনার আড়ালে নাকি রমরমিয়ে চলছে দেহব্যবসা। যা শোনার পর থেকে কার্যত ঢি ঢি পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে।
আরও পড়ুন : হাত বাড়ালেই চাঁদ, শেষ স্টেশন পার করে চন্দ্রযান-৩ থেকে বিচ্ছিন্ন হল বিক্রম! সুখবর শোনাল ISRO
তবে কি সেই কারণেই সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোয় আপত্তি জানাচ্ছে যাদবপুরের পড়ুয়ারা? নাকি এর থেকেও ঘৃণ্য কোনও কাজ হয় হস্টেল চত্বরে? উঠছে প্রশ্ন। আর এসবের মধ্যেই সামনে এসেছে এমন এক ভিডিও যা কার্যত এই বক্তব্যকেই সমর্থন করে__এমনটাই বক্তব্য নেটিজনদের। সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে এই ঘটনা।
আরও পড়ুন : ‘এমন ভাব করছেন যেন যাদবপুরে…..’ স্বপ্নদীপ কাণ্ডে এ কী বললেন জুন আন্টি ঊষসী? ছড়াল বিতর্ক
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, দুই তরুণী এবং দুই তরুণ হস্টেল ক্যাম্পাসের পাঁচিল ডিঙিয়ে ভেতরে ঢুকে যায়। তাদের তৎক্ষণাৎ জিজ্ঞেস করা হয় যে তারা কোন বিভাগে পড়ে? যদিও কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি সেই দুই তরুণীর তরফ থেকে। কোনোভাবে মুখ ঢেকে সেখান থেকে পলায়ন করে ঐ দুই তরুণী। বাকি দুই তরুণের কাছ থেকেও কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
একজন ক্যামেরা আড়াল করে চলে যায় এবং অপরজন যা জবাব দেয় তাতে রয়েছে ঢের অসঙ্গতি। এমনকি সে বাকিদের চিনতেও অস্বীকার করে দেয়। যদিও ভিডিও থেকে একথা স্পষ্ট যে তারা চারজনই একসাথে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে। চাঞ্চল্যকর এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে জল্পনা। কাদের মদতে ঘটছে এসব? এই পড়ুয়ারাই যদি দেশের ভবিষ্যৎ হয় তাহলে কোনদিকে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশ! প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ।