চাকরকে দিয়ে থাপ্পড় খাইয়েছিলেন সানির ঠাকুমা! এই কাজটির জন্য এখনও লজ্জায় মুখ লুকোন অভিনেতা

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ‘গদর ২’ র (Gadar 2) সাফল্যের পর থেকেই চর্চায় রয়েছেন সানি দেওল (Sunny Deol)। বহুল প্রতীক্ষিত এই সিক্যুয়েলটি দর্শকদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে। পাশাপাশি মানুষের নজরে এসেছে সানির ব্যক্তিজীবনের কর্মকাণ্ড-ও। এই যেমন কিছুদিন আগেই একটি সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় সানি তার বাবা ধর্মেন্দ্রকে নিয়ে খোলাখুলি আলোচনায় বসেছিলেন।

তিনি আরও বলেন যে, তার ঠাকুমার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছেন তিনি। এবং তার ঠাকুমার দেওয়া শিক্ষা তার জীবনেও অনেক বড় প্রভাব ফেলেছে। সম্প্রতি রণবীর এলাহাবাদিয়ার পডকাস্টে কথোপকথন চলাকালীনই নিজের জীবনের এইসব অজানা দিক তুলে ধরেছিলেন তিনি।

একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে সানি জানান যে তার বাবা ধর্মেন্দ্র একদা এক চাকরের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছিলেন। যার পরে তার ঠাকুমা তার বাবাকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেন। তিনি বলেন, “দাদি আমার ওপর অনেক প্রভাব ফেলেছেন। তিনি অত্যন্ত দানশীল মহিলা ছিলেন।”

আরও পড়ুন : ‘পুরাতন’র হাত ধরেই বাংলায় কামব্যাক শর্মিলার, বড় চমক রেডি করছেন ঋতুপর্ণা

সানি দেওল আরও বলেছেন, “যদি বাড়িতে কেউ ভুল করে থাকে তবে তিনি সহজেই তাদের বকাঝকা করতেন। মনে আছে, একবার আমার বাবা চাকরের ওপর রেগে গিয়ে গালিগালাজ করেছিলেন। ঠাকুমা এই কথা শুনে বাবার উপর খুব রেগে গেল। সে চাকরকে ডেকে বলল, তুমিও আমাকে গালি দাও। এই ধরনের মানুষ ছিল সে।”

আরও পড়ুন : পঞ্চমী এখন অতীত, শীঘ্রই নতুন সিরিয়ালে কামব্যাক করছেন রাজদীপ! সঙ্গী এই সুন্দরী নায়িকা

এই বিষয়ে সানি দেওল আরও বলেন, “তিনি কখনও কোনো অন্যায় ঘটতে দেননি। সেটা আমাদের নিজেদের লোক দিয়েই হোক বা অন্য কেউ করুক। এই মানুষদের সাথে আমি বড় হয়েছি। আমার ঠাকুরদা, আমার ঠাকুমা, আমার মা। আমি সবসময় বলি যে একটি শিশু তার পরিবার এবং যে পরিবেশে বড় হয় তার উপর নির্ভর করে।” সানি আরও বলেন যে, একবার ধর্মেন্দ্র তাকে এত চড় মেরেছিলেন যে তার গালে আঙুলের ছাপ পড়ে গিয়েছিল।

আরও পড়ুন : কেবল ‘জওয়ান’ নয়, তার আগে এই ৮ টি ছবিতে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাহরুখ! নাম জানেন?

dhzxarhxoaasn9

এইদিনের পডকাস্টে সানি দেওল বলেন, “আমি অন্য শিশুদের মতো দুষ্টুমি করতাম। একদিন বাবা আমাকে ধরে মুখে চড় মারলেন। আমার মুখে ৩টি আঙুলের ছাপ ছিল। পরে তিনি খুব অনুতপ্ত বোধ করেছিলেন, আমার ঠাকুমা এবং মা আবার তার উপর সেইসময় খুব রেগেছিল।”

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর