বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দিন যত এগোচ্ছে ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে রেলের (Indian Railways) যাত্রীসংখ্যা। এমতাবস্থায়, ক্রমবর্ধমান যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে এবং তাঁদেরকে সুষ্ঠুভাবে পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে রেলের তরফে। যার জেরে প্রত্যক্ষভাবে লাভবান হচ্ছেন যাত্রীরা। শুধু তাই নয়, রেলপথকে আরও গতিশীল করে তোলার পাশাপাশি সফরের সময় কমিয়ে আনার বিষয়েও নজর দিচ্ছে রেল।
এদিকে ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে চলাচল শুরু করেছে বন্দে ভারতের মতো সেমি হাই-স্পিড ট্রেন। যেটি অল্প সময়ের মধ্যেই যাত্রীদের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। পাশাপাশি, রেলের তরফেও দেশের বিভিন্ন রুটে চালু করা হচ্ছে বন্দে ভারত। তবে, এবার একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, অদূর ভবিষ্যতে রাজধানী এক্সপ্রেস কিংবা শতাব্দী এক্সপ্রেসের মত দ্রুতগামী ট্রেনগুলিকে প্রতিস্থাপন করবে বন্দে ভারত।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, আমাদের দেশে প্রিমিয়াম ট্রেন হিসেবে বন্দে ভারতের আগে বিবেচিত হত রাজধানী এবং শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো দ্রুতগামী ট্রেনগুলি। তবে এবার সেই ট্রেনগুলির জায়গা নিতে চলেছে বন্দে ভারত। যদিও, এর পেছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণও রয়েছে।
আরও পড়ুন: IMF-এর চাপে অসহায় অবস্থা পাকিস্তানের! মুদ্রাস্ফীতির মধ্যেই গ্যাসের দাম বাড়তে পারে ১০০ শতাংশ
প্রথমত, মেক ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচির আওতায় বন্দে ভারত তৈরি হচ্ছে সম্পূর্ণ ভারতেই। পাশাপাশি, এই ট্রেন যাত্রী পরিষেবার দিক থেকেও এগিয়ে রয়েছে অনেকটাই। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এখন জোরকদমে চলছে বন্দে ভারত তৈরির কাজও। বর্তমানে প্রতিমাসে তিন থেকে চারটি বন্দে ভারত তৈরি করা হচ্ছে। আর এই অত্যাধুনিক ট্রেনটিকেই রাজধানী এবং শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনগুলির পরিবর্তে কাজে লাগাতে চাইছে সরকার।
আরও পড়ুন: ধুলোয় মিশে যাবে চিনের অহঙ্কার! আমেরিকার এই প্ল্যানে দেওয়ালে পিঠ ঠেকবে জিনপিংয়ের
পাশাপাশি মনে করা হচ্ছে যে, আগামী ৩২ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যেই এই ট্রেনগুলি প্রতিস্থাপিত করবে রাজধানী এবং শতাব্দী এক্সপ্রেসকে। তবে, এর মধ্যে রয়েছে আরও একটি বিষয়। মূলত, বন্দে ভারতের ভাড়া অন্যান্য ট্রেনগুলির তুলনায় কিছুটা বেশি। এর ফলে রেল মন্ত্রক মনে করছে যে, বন্দে ভারতের চলাচল বেশি পরিমাণে শুরু হলে লাভের অঙ্কও বাড়বে। আর সেই কারণেই বন্দে ভারতের চেয়ার কারের পাশাপাশি বন্দে ভারতের স্লিপার ভার্সান নিয়ে আসার বিষয়েও কাজ করছে রেল।