ED-কে দেওয়া ওই ৬০০০ পাতার নথি ‘কে, কোথায় বসে লিখেছে আমি জানি’, কী ফাঁস করলেন শুভেন্দু?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গতকাল ইডির ডাকে সাড়া দিয়ে সিজিওতে যান তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। জন্মদিনের পরদিনই ইডির (ED) নোটিশ হাতে পেয়েছিলেন অভিষেক। নির্দেশ ছিল বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার মধ্যে সিজিওতে হাজিরা দিতে হবে অভিষেককে। একেবারে সময় মত পৌঁছেও যান নেতা। তবে মাত্র ১ ঘণ্টা হতে না হতেই সিজিও থেকে বেরিয়ে আসেন অভিষেক।

সিজিও চত্বরে দাঁড়িয়েই সংবাদমাধ্যমের সামনে অভিষেক বলেন, “আমি চাইলে ডিভিশন বেঞ্চের অর্ডার মত শুধু নথি পাঠিয়ে দিতে পারতাম। বা লিগাল টিম পাঠিয়ে দিতে পারতাম। কিন্তু তাও আমি এসেছি। ৫৫০০-৬০০০ পাতার নথি জমা দিয়েছি। সেসব দেখে যদি ফের ডাকা হয় আমি আসব।” এদিকে নেতার এই মন্তব্যের পরই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাবি, অভিষেকের ইডি দফতরে জমা দেওয়া নথি কোথায় বসে কে লিখেছেন, সেসব তিনি জানেন!

বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে দলীয় মঞ্চ থেকে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘‘একটি ল ফার্ম ৬৫০০ পাতার ইতিহাস লিখে দিয়েছে আর উনি (অভিষেক) গিয়ে ওসব জমা করে এসেছেন। সেখানে রুচিরা নারুলা, মেনকা গম্ভীর, লিপ্‌স অ্যান্ড বাউন্ডস কোথাও কিছুই লুকোনো নেই। ইডি দফতরে জমা দেওয়া এই ইতিহাস কোথায় বসে লেখা হয়েছে এবং কে লিখেছে আমি তা জানি।’’

আরও পড়ুন: সকাল সকাল বড় খবর! কুণালের ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ED

suvendu

ওদিকে শুভেন্দুর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র তথা সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘‘ইডি, সিবিআই এবং বিজেপির রক্ষাকবচ না থাকলে একদিনও যার শ্রীঘরের বাইরে থাকার কথা নয়, সেই বিকৃত মস্তিষ্কসম্পন্ন ব্যক্তির দ্বারাই এমন ধরনের কথা বলা স্বাভাবিক।” তিনি আরও বলেন, “ওর নাম সুদীপ্ত সেন নিজে চিঠি দিয়ে সিবিআইকে জানিয়েছে এবং এফআইআর-এও আছে। যেদিন সিবিআই নিরপেক্ষ হবে সেদিন সবজান্তা গামছাওয়ালা শুভেন্দুর পরিণতি কী হয় সেটাই দেখার অপেক্ষায়।’’

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর