বাংলাহান্ট ডেস্ক : কথায় আছে দিল্লিকা লাড্ডু যে খেয়েছে সে পস্তিয়েছে, আবার যে খায়নি সেও পস্তিয়েছে। অনেকেই বিবাহ নামক সম্পর্কটিকে তুলনা করে থাকেন দিল্লিকা লাড্ডুর সাথে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাহিত জীবনে একদিকে যেমন থাকে ভালোবাসা, তেমনই বৈবাহিক জীবনের অন্যতম একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল কলহ।
খুন করার আসল কারণ:
এই কলহ কখন যে মারাত্মক আকার ধারণ করে তা আগে থেকে অনেক সময় বোঝাও যায় না। তবে দাম্পত্য কলহ থেকে যে খুন হতে পারে সেই ধারণা অনেকেরই নেই। জন্মদিন পালন করার জন্য স্ত্রী দুবাই যাওয়ার আবদার রেখেছিলেন। কিন্তু স্বামী রাখেননি স্ত্রীয়ের সেই আবদার। এমনকি বিবাহ বার্ষিকীতে স্বামী দামী উপহারও দেননি। সেই রাগ থেকে স্বামীকে ঘুষি মেরে খুন করে ফেললেন স্ত্রী।
আরোও পড়ুন : ভারতের নয়, এশিয়ার এই মন্দির করল বিশ্বজয়! রোমের থেকে ছিনিয়ে নিল অষ্টম আশ্চর্যের খেতাব
দম্পতির পরিচয় :
মর্মান্তিক এই ঘটনা পুনেতে ঘটেছে গত শুক্রবার। দুবাই যেতে না পারলেও, ওই বধূর বর্তমান ঠিকানা হয়েছে জেল। সূত্রের খবর, এই দম্পতির বাস ছিল পুণের ওয়ানাবদি এলাকার এক অভিজাত আবাসনে। মৃত ব্যক্তির নাম নিখিল খন্না (৩৬)। তাঁর স্ত্রী হলেন রেণুকা (৩৮)। নিখিল খন্না ছিলেন নির্মাণ ব্যবসায়ী। প্রেম করে প্রায় বছর দশেক আগে বিয়ে হয় তাদের।
আরোও পড়ুন : ঘূর্ণাবর্ত থেকে ফের নিম্নচাপ, আমূল বদলাবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া! কী বলছে IMD রিপোর্ট?
কিভাবে ঘটল মৃত্যু ?
এই দম্পতির মধ্যে ঝামেলার সূত্রপাত হয় বিদেশ যাত্রা, দামি উপহার দেওয়া ইত্যাদিকে নিয়ে। দুজনের মধ্যে বচসা চরম পর্যায়ে গেলে স্ত্রী নিখিলের নাকে একটি ঘুষি মারেন। স্ত্রীর ঘুষিতে দাঁত ভেঙে যায় নিখিলের এবং গল গল করে রক্তপাত শুরু হয় নাক দিয়ে। এরপর নিখিল জ্ঞান হারান। এরপরই মৃত্যু হয় তার। নিখিলের স্ত্রী রেনুকার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
থানার আধিকারিকের বক্তব্য:
ওয়ানাবদি থানার এক আধিকারিকের কথায়, “এই ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে স্ত্রী রেনুকা জন্মদিনে যেতে চেয়েছিলেন দুবাই। কিন্তু স্ত্রীকে নিয়ে নিখিল দুবাই যাননি। এমনকি নিখিল দামি উপহার দেননি তাদের বিবাহ বার্ষিকীতে। নিখিল চেয়েছিলেন দিল্লিতে আত্মীয়দের সাথে রেনুকার জন্মদিন পালন করতে। তবে সেই বিষয়ে খুব একটা আগ্রহ দেখাননি রেনুকা। সেই নিয়ে দুজনের মধ্যে শুরু হয় বচসা।”