বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান (India-Pakistan) ভাগের সময় দুই দেশেরই সামগ্রিক অবস্থা প্রায় একই অবস্থা ছিল। কিন্তু, তারপরে, ভারত দুর্দান্তভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে চললেও, পাকিস্তান খুব একটা উন্নতি করতে পারেনি। কারণ, ওই দেশ তার উন্নতির চেয়ে প্রতিবেশী দেশের ক্ষতি করার দিকেই বেশি মনোনিবেশ করতে থাকে। সেই কারণেই তাদের উন্নতির গতি অত্যন্ত শ্লথ হয়ে পড়ে। এমনকি, পাকিস্তানে গণতন্ত্রও মজবুত হতে পারেনি এবং অর্থনীতির অগ্রগতিও হয়নি।
এদিকে, প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে দ্রুত নির্বাচন হতে চলেছে। কিন্তু সেখানকার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি খুব একটা ভালো জায়গায় নেই। তাই, সঙ্কটের মধ্যে থাকা পাকিস্তানের অর্থনীতি এখন অনেকটাই গাধার ওপর নির্ভরশীল। হ্যাঁ, বিষয়টি জেনে কিছুটা অবাক হয়ে গেলেও এটা কিন্তু একদমই সত্যি। এমনকি, বর্তমান পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে যে, পাকিস্তানে গাধার সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।
পাকিস্তানে গাধার অভাব নেই: পাকিস্তান ইকোনমিক সার্ভে ২০২২-২৩ অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ওই প্রতিবেশী দেশে গাধার সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। ২০১৯-২০ সালে পাকিস্তানে ৫৫ লক্ষ গাধা থাকলেও, ২০২০-২১ সালে তাদের সংখ্যা বেড়ে ৫৬ লক্ষ হয়েছে। এদিকে, নতুন সমীক্ষা অনুসারে, ২০২২-২৩ সালে পাকিস্তানে মোট ৫৮ লক্ষ গাধা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ল্যান্ড রোভার কিংবা জাগুয়ার নয়, রতন টাটা চড়েন এই গাড়িতে! জানুন তাঁর গাড়ির কালেকশন
তবে, সেখানে মহিষ, ভেড়া, ছাগলের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও গাধার সংখ্যা সবথেকে দ্রুতহারে বেড়েছে। সামগ্রিক ভাবে এই বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় “মিম” হওয়ার পাশাপাশি, একটি রাজনৈতিক রসিকতাও হয়ে উঠেছে। যদিও, ইমরান খানের সরকারের সময়ে এটিকে সবসময় একটি লাভজনক ব্যবসা হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ভারতের! মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদকে প্রত্যর্পণের দাবি বিদেশ মন্ত্রকের
অর্থনীতি গাধার ওপর নির্ভরশীল: আপনি হয়তো ভাবছেন পাকিস্তানে এত গাধা কি হয়? জানিয়ে দিচ্ছি সেই উত্তরও। মূলত, পাকিস্তান চিনে গাধা রপ্তানি করে। ওই প্রতিবেশী দেশে কৃষি ও অন্যান্য কাজে গাধা ব্যবহার করা হলেও এর রপ্তানি থেকে লাভ বেশি হয়। এদিকে, চিনে গাধার সংখ্যা কম না হলেও অন্যান্য দেশ থেকেও গাধা রপ্তানি করে। আসলে, গাধার চামড়ায় প্রাপ্ত জিলেটিন প্রোটিন চিন ওষুধে ব্যবহার করে। যা শক্তিবর্ধক বলে মনে করা হয়।