বাংলা হান্ট ডেস্ক: গত শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি অভিয়ানে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয় ইডির (Enforcement Directorate) আধিকারিকদের। শুধু তাই নয়, তিন অফিসারের মাথা ফেটে যাওয়ার পাশাপাশি, আক্রান্ত হন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। এদিকে, এই ঘটনার পরই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সহ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
যদিও, সন্দেশখালির পাশাপাশি ইডির আধিকারিকদের বনগাঁতেও তৃণমূলের অনুগামীর আক্রমণের মুখে পড়তে হয়। তবে, এক্ষেত্রে সন্দেশখালির মতো ভয়াবহ ঘটনা না ঘটলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল গাড়ি। যদিও, এবার একটি বড় প্রশ্নের উদ্রেক ঘটেছে। মূলত, এই ব্যাপারে সকালেই জেলার পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানানো সত্বেও কেন ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হল না, এটা নিয়ে সোমবার বিবৃতির মাধ্যমে ইডির তরফে প্রশ্ন ছোঁড়া হল।
ওই প্রেস বিবৃতিতে ইডি-র তরফে স্পষ্ট দাবি করা হয়েছে যে, গত শুক্রবার সকাল ৮ টা ৪৬ মিনিট নাগাদ ইমেলের মাধ্যমে পুলিশ সুপারকে তল্লাশি অভিযানের বিষয়ে জানানো হয়েছিল। এমনকি, বিকেল ৪ টে নাগাদ তাঁর সাথে ওই বিষয়ে ফোনেও যোগাযোগ করেন তদন্তকারীরা। মূলত, পুলিশ সুপারের কাছ থেকে ইডি আধিকারিকদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা চাওয়া হলেও পুলিশের দেখা কিন্তু মেলেনি।
আরও পড়ুন: নতুন বছরে বঙ্গোপসাগরে তৈরি সাইক্লোন! ফের ভিজতে চলেছে বাংলা, সতর্ক করল IMD
বরং, ওইদিন তল্লাশি অভিযান যেখানে হয়েছিল অর্থাৎ বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যের বাড়ির সামনে রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ বড় জমায়েত তৈরি হয়। শুধু তাই নয়, প্রেস বিবৃতিতে ইডি আরও জানিয়েছে রাত্রে শঙ্করকে গ্রেফতার করে গাড়িতে তোলার সময়ই ইডির আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় গাড়ি।
আরও পড়ুন: কে হবেন T20 বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক! নাম ঘোষণা করে দিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি
এমতাবস্থায়, ওই হামলার বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখনও FIR-এর প্রতিলিপি ইডি হাতে পায়নি বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। এমনকি, সন্দেশখালির হামলার ঘটনাতেও ন্যাজাট থানার তরফে ইডিকে FIR-এর প্রতিলিপি দেওয়া হয়নি বলে দাবি করা হয়েছে। এদিকে, সামগ্রিকভাবে সোমবার তদন্তকারী সংস্থার এহেন বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে, এই বিষয়ে জেলা পুলিশের কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি। যদিও, সোমবার দুপুরে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার জানিয়েছেন, “আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।” পাশাপাশি, “কাউকে রেয়াত করা হবে না” বলেও জানান তিনি।