বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্যের মধ্যে অন্যতম বড় এবং ব্যস্ত রেলস্টেশন শিয়ালদহ (Sealdah Station)। লোকাল থেকে দূরপাল্লার ট্রেনও চলাচল করে এই স্টেশন থেকে। প্রতিদিন কয়েক লক্ষ মানুষের যাতায়াত হয় শিয়ালদহ স্টেশনে (Sealdah Station)। তাই এবার এই স্টেশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আরও জোর দিল রেল। পূর্ব ভারতের মধ্যে শিয়ালদহ স্টেশনেই প্রথম বসছে ‘ফেসিয়াল রেকগনেশন ক্যামেরা’।
শিয়ালদহ স্টেশনে (Sealdah Station) নিরাপত্তা ব্যবস্থার কড়াকড়ি
প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে ঢেলে সাজানো হচ্ছে শিয়ালদহ স্টেশনের (Sealdah Station) নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শিয়ালদহ ডিভিশনের আধিকারিকরা জানান, স্টেশনের ১১৭ টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় উন্নত প্রযুক্তির ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি (Biometric Camera) ব্যবহার করেই কাজ করবে এই ক্যামেরা। স্টেশনে প্রবেশের পর এই ক্যামেরা ডিজিটাল ছবি বা ভিডিও ফ্রেমে মানুষের চোখ, নাক, মুখের গঠন স্ক্যান করে তা ডেটাবেজের তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখবে। এভাবেই একজন ব্যক্তির মুখের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে তাকে শণাক্ত করবে ক্যামেরা।
কীভাবে কাজ করবে ক্যামেরা: জানা যাচ্ছে, পুরো প্রক্রিয়াটাই হবে এআই এবং মেশিন লার্নিং অ্যালগোরিদমের উপরে ভিত্তি করে। ডেটাবেসে আগে থাকা রেকর্ড থাকা কোনও অপরাধী যদি ক্যামেরার সামনে চলে আসে তবে তাকে সহজেই শণাক্ত করে আরপিএফ জওয়ানদের (Sealdah Station) কাছে পৌছে দিতে পারবে তথ্য।
আরও পড়ুন : ফল প্রকাশই হয়নি প্রেসিডেন্সিতে, মাছি তাড়াচ্ছে যাদবপুর, বেহাল দশা রাজ্যের নামী দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে
হঠাৎ কেন এই উদ্যোগ: রিপোর্ট বলছে, শিয়ালদহ স্টেশনে দিনে প্রায় ১৫-১৮ লক্ষ যাত্রীর পা পড়ে। এদিকে সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে অপরাধের হারও বাড়ছে বলে জানিয়েছেন রেলের (Sealdah Station) আধিকারিকরা। তাই এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত রেলের। এই পদ্ধতিতে অপরাধীকে আরও দ্রুত শণাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে বলেই মনে করছেন রেল আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন : ঘুরে গেল খেলা, চিনের চাপ বাড়িয়ে মালদ্বীপে নতুন অধ্যায় শুরু ভারতের, মোদীর চালেই কুপোকাত বেজিং
উল্লেখ্য, বর্তমানে শিয়ালদহ স্টেশনে (Sealdah Station) মোট ২৪০ টি ক্যামেরা রয়েছে আগে থেকেই। কিন্তু সেগুলিতে নেই আধুনিক প্রযুক্তি। ২০২৬ কে আপাতত লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে বলে খবর। তার মধ্যেই মোট ৫০০ টি ক্যামেরা স্টেশনে বসে যাবে বলে জানিয়েছেন শিয়ালদহ ডিভিশনের রেল আধিকারিকরা। এই পুরো প্রক্রিয়ায় খরচ হচ্ছে প্রায় ৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা।