বাংলা হান্ট ডেস্ক: জীবনে সফল হতে কে না চান? কিন্তু, সফল হওয়ার ক্ষেত্রে প্রত্যেককেই পেরোতে হয় কন্টকাকীর্ণ পথ। শুধু তাই নয়, সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে দূরে সরিয়ে রেখে নিজের লক্ষ্যপূরণের প্রতি হতে হয় অবিচল। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন এক দম্পতির প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যাঁরা UPSC-র মতো কঠিন পরীক্ষায় সফল হয়ে নজির গড়েছেন। তাঁদের এই সফলতার কাহিনি (Success Story) উদ্বুদ্ধ করবে প্রত্যেককে।
চমকে দেবে যুবরাজ এবং মৌনিকার সাফল্যের কাহিনি (Success Story):
মূলত, আজ আমরা আপনাদের জানাবো যুবরাজ এবং মনিকার সম্পর্কে। যাঁরা ২০২১ সালে UPSC পরীক্ষায় সফলতা (Success Story) লাভ করেন এবং ২০২৩ সালে নেহাত অনাড়ম্বরভাবে সম্পন্ন করেন বিবাহ। রাজস্থানের গঙ্গানগরের বাসিন্দা যুবরাজ মারমাট, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (বি.টেক) ডিগ্রি অর্জন করেন। UPSC পাশ করার আগে, তিনি ইন্ডিয়ান ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনে চাকরিও করেছেন।
ষষ্ঠ প্রচেষ্টায় আসে সাফল্য: সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পথ যুবরাজের যাত্রা সহজ ছিল না। তিনি ২০১৬ সালে প্রথম UPSC পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। এদিকে, ২০২১ সালে তিনি তাঁর ষষ্ঠ প্রচেষ্টায় কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হন।তিনি সর্বভারতীয় র্যাঙ্ক ৪৫৮ অর্জন করেন। ২০২৩ সালে বিয়ের সময়, যুবরাজ ছত্তিশগড়ের রায়গড়ে ডেপুটি কালেক্টরের পদে অধিষ্ঠিত (Success Story) ছিলেন।
আরও পড়ুন: অবশেষে মিলবে “যোগ্য সম্মান”? এশিয়া কাপের আগেই বড়সড় সুসংবাদ পেতে পারেন শ্রেয়স আইয়ার
মেডিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে সিভিল সার্ভিসের সফর মৌনিকার: এদিকে, তেলেঙ্গানার বাসিন্দা পি. মনিকার মেডিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে। তিনি ফার্মাকোলজিতে স্নাতক। এছাড়াও, তাঁর খেলাধুলা এবং সঙ্গীতের প্রতিও বিরাট অনুরাগ রয়েছে। মনিকা ২০২১ সালের UPSC সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় সর্বভারতীয় ৬৩৭ র্যাঙ্ক অর্জন করেন। ওই র্যাঙ্কের মাধ্যমে তিনি ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিসে স্থান (Success Story) করে নিয়েছেন। মৌনিকা UPSC CSE Mains-এ ৭১৫ নম্বর এবং ইন্টারভিউতে ১৭৯ নম্বর পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপে ভারতের মুখোমুখি হওয়ার আগে শোচনীয় অবস্থা পাকিস্তানের! ঝড় তুলতে প্রস্তুত টিম ইন্ডিয়া
LBSNAA-তে দেখা, বিয়ের পর একই ক্যাডারে কাজ: যুবরাজ এবং মৌনিকার সাক্ষাৎ ঘটেছিল মুসৌরিতে অবস্থিত লাল বাহাদুর শাস্ত্রী জাতীয় প্রশাসন অ্যাকাডেমি (LBSNAA) থেকে। প্রশিক্ষণের সময় সেখানেই তাঁদের বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হয়। বিয়ের পর, যুবরাজ ক্যাডার পরিবর্তনের জন্য আবেদন করেছিলেন। এখন উভয় আধিকারিকই তেলেঙ্গানা ক্যাডারে কর্মরত রয়েছেন।