বাংলা হান্ট ডেস্ক : চোর সন্দেহে থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে চলল অকথ্য মার, অত্যাচার। খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, পুলিশের সন্দেহ ছিল, ঐ মহিলা নাকি সোনার ব্রেসলেট চুরি করেছেন। আর সেই সন্দেহেই মহিলা এবং তার ৫ বছরের ছেলেকে তুলে নিয়ে যায় হুগলি থানার (Hooghly) পুলিশ।
সূত্রের খবর, থানাকুল থানার মালঞ্চ ফাঁড়ির ইনচার্জ তুষারের নেতৃত্বেই এই ঘটনাটি ঘটে। মহিলা পুলিশের অনুপস্থিতিতেই একজন মহিলাকে তুলে আনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে এলাকার মানুষজন। ঐ মহিলার অভিযোগ, তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ তো করা হয়েইছে উল্টে মারধোর অবধি করা হয়।
এমনকি তার চোখে লঙ্কার গুঁড়ো দেওয়া থেকে শুরু করে গোপনাঙ্গে আঘাতও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ কর্তারা রেহাই দেয়নি তার নাবালক ছেলেকেও। এসবের পরেও ব্রেসলেট সংক্রান্ত কোনও তথ্য না মেলায় অবশেষে ঐ মহিলা এবং তার নাবালক ছেলেকে ছাড়তে বাধ্য হয় খানাকুল থানার মালঞ্চ ফাঁড়ির পুলিশ।
আরও পড়ুন : বিয়েবাড়িতে দেদার গুলি, যোগী রাজ্যে শ্বশুরের হাতে খুন ডন দাউদ ইব্রাহিমের শ্যালক
মহিলার অভিযোগ, এই ঘটনায় মুখ খুললে ভবিষ্যতে আরও বড় বিপদ হবে বলে হুমকি দেওয়া হয় তাকে। যদিও পুলিশ নির্যাতনের এই খবর চাপা থাকেনি। খবর চাউর হতেই পথে নামেন মহিলারা। শুধুমাত্র সন্দেহের বশে কাউকে কিভাবে থানায় নিয়ে যেতে পারে? আর তাও আবার মহিলা পুলিশ ছাড়া! প্রশ্ন তুলেছেন আম জনতা। যদিও এই প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত একটা শব্দও খরচ করেনি জেলা পুলিশের কর্তারা।