বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একরাতের ভয়াবহ বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল কলকাতা। তবে আশ্চর্যজনকভাবে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চেনা ছন্দে ফিরেছে শহর। ৫ ঘণ্টার টানা বৃষ্টির পরও রেকর্ড সময়ের মধ্যে জমা জল সরাতে সক্ষম হয়েছে কলকাতা পুরসভা। বুধবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজেই জানালেন, “সাত ঘণ্টার মধ্যে জল নেমে গেছে। দু-একটা লো-ল্যান্ড বাদে প্রায় সব জায়গায় জল নেমে গিয়েছে।”
প্লাস্টিক নিয়ে ক্ষোভ মমতার (Mamata Banerjee)
তবে এই সাফল্যের মাঝেই নাগরিক সচেতনতা নিয়ে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “যেখানে সেখানে প্লাস্টিক ফেলে রাখা হচ্ছে। তা নর্দমায় আটকে যাচ্ছে। আমাদের সিভিক সেন্স কবে আসবে?” মমতা আরও বলেন, “প্রতি পাড়ায় ডাস্টবিন দেওয়া হয়েছে। তারপরও প্লাস্টিকগুলো নালায় ফেলা হচ্ছে। কোথাও বাড়ি তৈরি হচ্ছে, তার ইট-বালি-সুরকি বর্ষায় ভেসে নালা বন্ধ করে দিচ্ছে।” এদিন মুখ্যমন্ত্রী মেট্রো কর্তৃপক্ষকেও সতর্ক করে দেন, কাজের পর রাস্তায় ফেলে রাখা বালি-পাথর দ্রুত সরানোর জন্য।
প্রসঙ্গত, পুরসভা ও সেচদপ্তর মঙ্গলবার ভোর থেকেই চালু করে ২৯টি পাম্পিং স্টেশন। কালীঘাট পাম্পিং স্টেশনে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হয়, ২৯৭ মিলিমিটার। দ্রুত জল অপসারণের জন্য পোর্টেবল পাম্পও নামানো হয় পথে। এমনকি ঠনঠনিয়ার মতো নিচু এলাকা থেকেও ভোরের মধ্যেই জল সরে যায়। রাতেই লকগেট খুলে দেওয়ায় দমদম ও বাগবাজারের মতো জায়গাতেও জল নামতে শুরু করে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরই কালীঘাট, রাসবিহারী, গড়িয়াহাট, বালিগঞ্জের মতো ব্যস্ত এলাকাগুলো থেকে জমা জল সরতে শুরু করে। সকালেই সেসব এলাকা হয়ে যায় জলশূন্য। বিভাগীয় মেয়র পারিষদ তারক সিং জানান, “রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু নিকাশি-সহ পুরসভার প্রতিটি বিভাগ একযোগে পথে নেমে মহানগরকে জমা জল থেকে মুক্ত করেছে। এমনকী সিভিল ও বিল্ডিং বিভাগের কর্মীরাও জল অপসারণে অংশ নিয়েছেন।”
আরও পড়ুনঃ শেষ মুহূর্তে বদল! ৩টে নয় ২টো পুজো উদ্বোধন করবেন অমিত শাহ, কোনটি বাদ গেল তালিকা থেকে?
জোয়ারের জল নিয়েও চিন্তিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার রাত দুটো পর্যন্ত তিনি খোঁজ নিয়েছেন পরিস্থিতির। এ ছাড়াও পাম্পিং স্টেশন থেকে জমা জল সরানোর কাজেও তিনি সরাসরি নজর রাখেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, “এখন পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।”