বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালিতে ইডি পেটানোর ঘটনার পর প্রায় ৫৫ দিন গায়েব ছিলেন শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। এরপর মিনাখাঁ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। এই ঘটনায় এবার সিবিআইয়ের নজরে মিনাখাঁ এলাকার এক ইট ভাটার মালিক। সম্প্রতি শাহজাহান ঘনিষ্ঠ বাপ্পা মণ্ডলের ভাটা এবং অফিসে হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
শুধু তাই নয়, মিনাখাঁ এলাকায় জিজ্ঞাসাবাদের নোটিশও দেন গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দল নিয়েই এদিন সেখানে গিয়েছিলেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। ইডির ওপর হামলার দিন ইট ভাটার মালিক বাপ্পা কী দেখেছিলেন? সন্দেশখালি কাণ্ডের (Sandeshkhali Issue) প্রধান অভিযুক্ত শাহজাহানকে তিনি কতদিন ধরে চিনতেন? ভাটা থেকে কমিশন হিসেবে কত টাকা তাঁকে পাঠানো হত? জানা যাচ্ছে, শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ এই ইট ভাটার মালিককে এমনই কিছু প্রশ্ন করতে পারেন তদন্তকারীরা। তবে এদিন বাপ্পা মণ্ডল (Bappa Mondal) মিনাখাঁর অফিসে ছিলেন না। তাঁর এক পরিচারককে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করে বলে খবর।
সন্দেশখালি কাণ্ডের তদন্তে এদিন দুই দলে ভাগ হয়ে কাজ করে সিবিআই। একটি দল বাপ্পা মণ্ডলের ইট ভাটা ঘুরে দেখেন। সেই সঙ্গেই কুতুবউদ্দিনের বাড়ি যান তাঁরা। শ্রমিক ঠিকাদার কুতুবউদ্দিনের অধীনে যে ছেলেরা ভাটায় কাজ করে, তাঁদের মধ্যে একজন ইডি পেটানোর ঘটনায় যুক্ত ছিলেন বলে খবর। আইজুল শেখ নামের সেই যুবককে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ। তবে আইজুলের সেই গ্রেফতারি যথার্থ কিনা সেই বিষয়ে খোঁজ নিতেই কুতুবউদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। তাঁদের বয়ানও রেকর্ড করা হয় বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ ‘নির্মাণ বেআইনি ছিল’, স্বীকার করে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী! মৃত্যুর দায় কার? ‘কড়া’ পদক্ষেপের আশ্বাস মমতার
গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে শাহজাহানের বাড়ি গিয়ে হামলার মুখে পড়েন ইডি আধিকারিকরা। এরপর রাজ্য পুলিশের হাতে বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হন। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন সঞ্জয় মণ্ডল। সেই ব্যক্তি এবং তাঁর গ্রেফতারির বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে সিবিআইয়ের একটি দল রামপুরে তাঁর বাড়ি যায়।
সব মিলিয়ে, সন্দেশখালি কাণ্ডে জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছেন তাঁরা। প্রধান অভিযুক্ত শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীরকেও সম্প্রতি গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এরপর আলমগীর, সিরাজুল এবং মাফুজারকে বসিরহাট আদালতে পেশ করা হয়। ইডি পেটানোর ঘটনার সঙ্গে তাঁদের যোগসূত্র রয়েছে বলে দাবি।
জানা যাচ্ছে, শাহজাহানের ভাই সহ ধৃত তিনজনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে শাহজাহান, দিদারবক্স, জিয়াউদ্দিনের সামনে বসিয়ে জেরা করবে সিবিআই। কার নির্দেশে গত ৫ জানুয়ারি হামলা হয়েছিল? কীভাবে হামলা হয়? কী দিয়ে হামলা হয়? আলমগীর এত বিলাসবহুল গাড়ি কোথা থেকে পেল? শাহজাহানের সঙ্গে কত টাকার লেনদেন হয়েছিল? সিবিআইয়ের তরফ থেকে এই সব বিষয়েই প্রশ্ন করা হবে বলে খবর।