বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাংলার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একাধিক প্রকল্প চালু করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতার বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তার মধ্যে রাজ্য সরকারের এক অভিনব উদ্যোগ হল ‘তরুণের স্বপ্ন’ (Taruner Swapno Scheme) প্রকল্প। এর মাধ্যমে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির স্কুল পড়ুয়ারাদের এককালীন ১০,০০০ টাকা করে দেওয়া হয়। ২০২৫ সালের জন্য এই প্রকল্পে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে। কি বলা হয়েছে? জেনে নিন।
‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে রাজ্যের কড়াকড়ি | Taruner Swapna Scheme
বর্তমান সময়ে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল শিক্ষার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা যাতে উন্নত মানের শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সেই লক্ষ্যে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ছাত্রছাত্রীদের এই টাকা দেওয়া হয়ে থাকে রাজ্য সরকারের তরফে। সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলের পাশাপাশি, মাদ্রাসা এবং সংখ্যালঘু বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদেরও এই সুবিধা পেয়ে থাকে। তবে গত বছর এই প্রকল্প নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। তাই এবারে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং জালিয়াতি রুখতে একাধিক পরিবর্তন আনা হয়েছে।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে “Self-Declaration” বা স্ব-ঘোষণা পদ্ধতি আনা হয়েছে। আগে স্কুল থেকে নাম নথিভুক্ত করার পর সরাসরি পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে যেত। কিন্তু এবারে আর তা হবে না। জানা যাচ্ছে, এবারে স্কুল থেকে পোর্টালে তথ্য আপলোড করার পর আবেদনকারীর মোবাইলে একটি এসএমএস আসবে।
ফোনে এসএমএস আসলে নির্দিষ্ট পোর্টালে গিয়ে নিজের তথ্য যাচাই করে ‘Self-Declaration’ জমা দিতে হবে পড়ুয়াদের। জানা যাচ্ছে, এক্ষেত্রে আধার কার্ডের সাথে মোবাইল নম্বর লিঙ্ক বাধ্যতামূলক থাকতে হবে। কারণ ফোন নম্বরে OTP-র মাধ্যমে ভেরিফিকেশন হবে। এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন না হলে ১০,০০০ টাকা ঢুকবে না পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে।
প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
২০২০ সালে কোভিডের সময় থেকেই শিক্ষার ডিজিটালকরণে জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। ডিজিটাল শিক্ষায় শিক্ষিত করতে এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে রাজ্যের পড়ুয়াদের মোবাইল এবং ট্যাবলেটের মাধ্যমে পড়াশোনার ক্ষেত্রে সমান সুযোগ গড়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে অনলাইন ক্লাস এবং শিক্ষামূলক অ্যাপ ব্যবহারে সুবিধা হয়।
এই প্রকল্পে (Government Scheme) আবেদনের জন্য শিক্ষার্থীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্বীকৃত কোনও স্কুল অথবা মাদ্রাসার দ্বাদশ শ্রেণিতে পাঠরত হতে হবে। পড়ুয়ার পারিবারিক আয় হতে হবে বছরে ২ লাখ টাকার মধ্যে। তবে কেবল মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করলেই এই টাকা মিলবে না, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিও হতে হবে।

আরও পড়ুন: কম্বল তুলে রাখুন! কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে ফের হুড়মুড়িয়ে বাড়বে তাপমাত্রা: আবহাওয়ার খবর
মাধ্যমিকের মার্কশিটের কপি, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার নথি, মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড ইত্যাদি প্রমাণ হিসেবে জমা করলে তবেই পাওয়া যাবে ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের সুবিধা। পাশাপাশি ওই টাকা দিয়ে মোবাইল বা ট্যাব কিনে অবশ্যই সেই রসিদ বিদ্যালয়ে জমা করতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের।












