বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election)। হাতে মাত্র কয়েকটা মাস। তার আগে তুঙ্গে প্রস্তুতি সব শিবিরে। চতুর্থ বার ক্ষমতা কায়েম করতে এখন থেকেই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার নবান্নের সভাঘর থেকে ২০১১ থেকে ২০২৫, গত ১৫ বছরে নিজের সরকারের কাজের সাফল্যের খতিয়ান বা ‘প্রোগ্রেস রিপোর্ট’ জনসমক্ষে পেশ করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘উন্নয়নের পাঁচালি’।
‘উন্নয়নের পাঁচালি’ শোনালেন মমতা | Mamata Banerjee
মমতা ছাড়াও নবান্ন সভাঘরের এই বৈঠকে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব-সহ প্রতিটি দফতরের মন্ত্রী, সচিব, আমলা, প্রতিটা জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপাররা উপস্থিত রয়েছেন বলে খবর। এদিন বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ক্ষমতায় আসার আগে জনগণকে আমরা কী বলেছিলাম, আর এই সময়ে আমরা কী কী কাজ করেছি, সেটা মানুষকে জানানো আমাদের দায়িত্ব বলেই মনে করি। তাই এই রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করা হল।”
এদিনের বৈঠকে মমতা সরকারের হিট প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী থেকে কৃষক বন্ধু, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড-সহ নানা সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন দপ্তরের কাজ কতটা এগিয়েছে, রাজ্যবাসী কতটা উপকৃত হয়েছেন এসবের দ্বারা, সেই তথ্য-পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, রাজ্যের ২.২১ কোটি মহিলাকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিচ্ছে তৃণমূল সরকার। রূপশ্রী প্রকল্পের উপভোক্তা ২২.০২ লাখ মেয়ে। এক কোটি মেয়ে কন্যাশ্রী পাচ্ছে। এছাড়া ২০১৩- ২০২৩ সালের মধ্যে রাজ্য সরকারের ১.৭২ কোটি মানুষকে দারিদ্রসীমার বাইরে আনা হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করলেন।
হিসেব অনুযায়ী, গত ১৫ বছরের নিরিখে রাজ্যের জিডিপি বৃদ্ধি হয়েছে ৪.৪১ গুণ। কর আদায় হয়েছে ৫ গুণ। রাজ্যজুড়ে অসংখ্য ছোট ছোট কর্মসংস্থান ও স্বনির্ভর প্রকল্প হয়েছে সেবিষয়েও তুলে ধরা হয়। বেকারত্ব হ্রাস পেয়েছে ৪০ লক্ষ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”বাংলা এখন সারা দেশের মডেল।”
আরও পড়ুন: SSC শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় কাদের দেওয়া হবে ১০ নম্বর? বিচারপতি সিনহা স্পষ্ট বললেন…
এছাড়া স্বাস্থ্যসাথী, দুয়ারে রেশন, ১০০ দিনের কাজ বা ‘কর্মশ্রী’, বাংলার বাড়ি সহ একাধিক প্রকল্প নিয়ে রাজ্যের কাজের খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে। একইসাথে কেন্দ্রকে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার টাকা বন্ধ করে দিলেও রাস্তা, বাড়ি-সহ সমস্ত খরচ করেছে রাজ্য সরকার।

মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ১৪ বছরে দু’কোটি চাকরি দিয়েছে তৃণমূল সরকার। এছাড়াও রাজ্যের লোকাল কোচ, মেট্রোর কোচ, জাহাজ, ভারী যন্ত্রপাতি তৈরি হচ্ছে। ইস্পাত কারখানা এবং সিমেন্ট কারখানাও রয়েছে। ছ’টি অর্থনৈতিক করিডর তৈরি হচ্ছে। দেউচা পাচামিতে এক লাখ কর্মসংস্থান হবে বলে দাবি মমতার। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ১২ লাখ স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি করা হয়েছে। যা গোটা ভারতের মধ্যে মডেল হয়ে গিয়েছে।












