বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতের ইতিহাসে যেকটি মারাত্মক ট্রেন দুর্ঘটনা হয়েছিল, তার মধ্যে থেকে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা অন্যতম। ২০১০ সালের জ্ঞানেশ্বরী ট্রেন দুর্ঘটনার প্রভাব পড়েছিল মারাত্মক। এতদিন পর বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত তৃণমূল। এমনকি তিনি এও বলেন, জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা এখনও রয়েছেন তৃণমূলে।
জ্ঞানেশ্বরী কাণ্ড নিয়ে সরব শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)
ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের সভা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছেড়ে শুভেন্দু বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের নাকি রাজ্য সম্পাদক সেই ছত্রধর মাহাত, এখানে তিনি জনসাধারণের কমিটি গঠন করেছিলেন। সালটা ছিল ২০০৭-২০০৮। মাইলের পর মাইল জঙ্গলমহলের বৃদ্ধবৃদ্ধাদের মিছিলে হাঁটাতেন। তিনিই এখন তৃণমূলের নয়নের মণি।

পালটা কটাক্ষ তৃণমূলের: তিনি আরও বলেন, জ্ঞানেশ্বরী হত্যাকাণ্ড যেখানে ১০০ র-ও বেশি যাত্রী খুন হয়েছিলেন। তাঁরা আজ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা। তবে পালটা মুখ খুলেছে রাজ্যের শাসক দলও। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১০ এ। সে সময়ে কেন্দ্রে কংগ্রেস আর বাংলায় কমিউনিস্ট সরকার। তাহলে শুভেন্দু অধিকারী সব ভুলে গিয়ে তৃণমূলকে জড়ালেন কেন?
আরও পড়ুন : মায়ের অনুপ্রেরণা! বাবার শৃঙ্খলা, চাকরির মধ্যেই প্রস্তুতি নিয়ে UPSC-তে সফল হলেন শিবম
কী প্রশ্ন উঠছে: উল্লেখ্য ২০১০ সালের ২৮ মে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা ঘটেছিল। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি অনুযায়ী, সে সময় তিনি জঙ্গলমহলের দায়িত্বে ছিলেন। তাহলে সেসময় বললেন না কেন তিনি? এতদিনে কেন মুখ খোলেননি তিনি? প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায়ও।
আরও পড়ুন : এক দশকের সফরে ইতি, দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ দর্শন করলেন কঙ্গনা
প্রসঙ্গত ২০১০ সালের নভেম্বরে ঘটেছিল জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনা। লাইনচ্যুত হওয়ার পর ডাউন লাইনে উলটো দিক থেকে আসা একটি মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের। ওই ঘটনায় প্রায় ১৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল বলে খবর।












