বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালি (Sandeshkhali) কাণ্ডের মূল হোতা শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) আপাতত জেলবন্দি। বহু ‘তপস্যা’র পর এই নেতাকে বাগে পেয়ে জোর কদমে তদন্ত চালাচ্ছে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED) ও সিবিআই। আর তাতেই ঝুলি থেকে এক এক করে বেরিয়ে আসছে বেড়াল। সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে জমি দখলের মামলায় এখনও পর্যন্ত ২৬০ কোটি টাকার হদিস মিলেছে। আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ওরফে ইডি।
সোমবার কলকাতার বিচার ভবনে শাহজাহান ও তার সঙ্গী আলমগির, শিবপ্রসাদ হাজরা, দিদার বক্স মোল্লাকে হাজির করানো হয়। সেখানেই ধৃত এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করে ইডির আধিকারিকরা। আদালতে ইডির দাবি, শাহজাহানের বিরুদ্ধে জমি দখলের এই মামলায় ‘প্রসিড অফ ক্রাইম’ অর্থাৎ দুর্নীতি করে আয় করা এখনও পর্যন্ত এমন ২৬০ কোটি টাকার সম্পত্তি চিহ্নিত করতে পেরেছেন তারা।
আদালতে ইডির আরও দাবি, দুর্নীতির মাধ্যমে মানুষকে ভয় দেখিয়ে সন্দেশখালিতে ২৬০ কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন শাহজাহান। জমি, ভেড়ি সহ বিপুল পরিমাণে নগদ সম্পত্তিও বৃদ্ধি পেয়েছে শাহজাহানের। প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসে সন্দেশখালিতে ইডি পেটানোর ঘটনার ৫৫ দিন পর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন তৃণমূলের শেখ শাহজাহান।
আরও পড়ুন: জোর বিপাকে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়! কী জানাচ্ছে হাই কোর্ট?
গ্রেফতারির পরই তড়িঘড়ি শাহজাহানকে ছ’বছরের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করে তৃণমূল। ওদিকে আদালতের নির্দেশে সিবিআই হেফাজতে যান শাহজাহান। এরই মাঝে ইডিও শাহজাহানকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। এই শাহজাহানের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ রয়েছে সন্দেশখালিবাসীর। Ed-র উপর হামলার ঘটনাতেই শাহজাহান শেখকে গ্রেফতার করা হয়। সন্দেশখালির সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জমি জবরদখল, মাছের ব্যবসার আড়ালে দুর্নীতির মতো একাধিক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে শাহজাহানের বিরুদ্ধে।