বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোট মিটতেই শিরোনামে নির্বাচনে পরবর্তী হিংসা। এবার যেমন চর্চার কেন্দ্রে উঠে এল বীরভূম। নলহাটি স্টেশনের অদূরে উদ্ধার হয় প্রদীপ মাল নামের এক BJP কর্মীর গলাকাটা মৃতদেহ। রেললাইন থেকে তাঁর নিথর দেহ উদ্ধার হয়। মৃত BJP কর্মীর বাড়ি বীরভূমের (Birbhum) নলহাটির পাইকপাড়া গ্রামে।
জানা যাচ্ছে, রবিবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন প্রদীপ। কিছুক্ষণ পরেই জানা যায় তাঁর দেহ উদ্ধারের খবর। ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন BJP কর্মী? নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ? বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
যদিও এই প্রথম নয়, এর আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় এক BJP কর্মীর মৃত্যু নিয়েও তুমুল শোরগোল হয়েছে। সঞ্জয় বেরা নামের পদ্ম শিবিরের সেই কর্মীর মৃত্যু ঘিরে প্রবল আলোড়ন সৃষ্টি হয়। গতকাল রাতে মৃত্যুর ৪ দিনের মাথায় প্রায় রাত ১২টা নাগাদ ডেবরার পুরুষোত্তম নগরে সঞ্জয়ের বাড়িতে তাঁর নিথর দেহ ফেরে। কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার পরিজনেরা।
আরও পড়ুনঃ বেলা গড়াতেই কালো করে এল আকাশ, ঝমঝমিয়ে শুরু বৃষ্টি! আজ ভিজবে কোন কোন জেলা?
BJP নেতা কর্মীরা সঞ্জয়ের মৃতদেহ তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার পর তাঁর দেহে মালা দেন। এরপর তাঁর দেহ শেষকৃত্যের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সঞ্জয়ের পরিবারের দাবি, যারা এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন, তাঁরা যেন শাস্তি পায়।
উল্লেখ্য, পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যু হয় সঞ্জয়ের। পরিবারের তরফ থেকে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ আনা হয়। জল গড়ায় কলকাতা হাই কোর্ট অবধি। আদালতের নির্দেশে SSKM হাসপাতালে পুনরায় ময়নাতদন্ত হয়। সেই ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফিও করা হয়। সেই সঙ্গেই ডেবরা থানা এবং জেলের CCTV ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রয়াত সঞ্জয়ের পরিবারের দাবি, পুলিশের মারধরের কারণেই সঞ্জয়ের মৃত্যু হয়েছিল। BJP কর্মীর পরিবারের আইনজীবী দাবি করেন, গ্রেফতারির সময় সঞ্জয়ের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। পুলিশের তরফ থেকে পাল্টা দাবি করা হয়, পড়ে গিয়ে চোট পেয়ে মারা যান সঞ্জয়। আদালত থেকে জেলে ফেরার সময় পড়ে যান সঞ্জয়, চিকিৎসার জন্য মেদিনীপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, দাবি করে রাজ্য সরকার। মৃত BJP কর্মীর পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন ডেবরার স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক।