১-২ নয়, ক’জন সন্তানের বাবা Telegram-এর CEO? জানলে উঠবেন আঁতকে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি চমকপ্রদ বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে রীতিমতো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এলেন টেলিগ্রামের ফাউন্ডার পাভেল দুরভ (Pavel Durov)। তিনি এমন একটি বিষয় সামনে এনেছেন যেটি জায়গা করে নিয়েছে খবরের শিরোনামে। পাভেল দুরভের মতে, তিনি ১ টি বা ২ টি নয় বরং ১০০ সন্তানের বায়োলজিক্যাল ফাদার। হ্যাঁ, প্রথমে বিষয়টি যেন চমকে গেলেও এটা কিন্তু একদমই সত্যি।

১০০ সন্তানের বায়োলজিক্যাল ফাদার পাভেল দুরভ (Pavel Durov):

পাভেল (Pavel Durov) তাঁর টেলিগ্রাম পোস্টে এই সংক্রান্ত তথ্য সবার সামনে উপস্থাপিত করেছেন। যেখানে তিনি জানিয়েছেন যে, স্পার্ম ডোনেশন অর্থাৎ শুক্রাণু দানের মাধ্যমে ১২ টি দেশে তাঁর শতাধিক শিশু রয়েছে। শুধু তাই নয়, পাভেল দুরভ এই বিষয়ে দীর্ঘ পোস্টও করেছেন।

   

“শুরু হয়েছিল ১৫ বছর আগে”: পাভেল দুরভ (Pavel Durov) টেলিগ্রামে বলেছেন যে, “আমি জানতে পেরেছি যে আমার ১০০-রও বেশি বায়োলজিক্যাল শিশু রয়েছে। যে ব্যক্তি কখনও বিয়ে করেনি এবং একা থাকতে পছন্দ করে তার পক্ষে এটা কিভাবে সম্ভব?” তিনি জানান, স্পার্ম ডোনার হওয়ার কাহিনি শুরু হয়েছিল ১৫ বছর আগে।

How many children does Telegram CEO Pavel Durov have.

বন্ধু দান করতে বলেন স্পার্ম: টেলিগ্রামে পোস্ট করে, পাভেল (Pavel Durov) লিখেছেন যে ১৫ বছর আগে, তাঁর এক বন্ধুর সন্তান ধারণ করতে অসুবিধা হচ্ছিল। তারপরে ওই বন্ধু তাঁকে স্পার্ম দান করার জন্য অনুরোধ করেন। তাঁর বন্ধু তাঁকে স্পার্ম দান করার জন্য ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়ার পর পাভেলকে বলা হয়েছিল যে তাঁর শুক্রাণু ভালো মানের। পাভেলের কাছে এটা অদ্ভুত মনে হলেও তিনি শুক্রাণু দান করতে রাজি হয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: “হুমকি পেয়েও আমরা….”, ভারতীয় দলের প্রসঙ্গ টেনে এবার বোমা ফাটালেন আফ্রিদি, জানালেন….

পাভেল দুরভ (Pavel Durov) আরও লিখেছেন যে, তিনি পরে স্পার্ম দান করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তবে বর্তমানে ১২ টি দেশে তাঁর ১০০ টিরও বেশি বায়োলজিক্যাল সন্তান রয়েছে। তিনি জানান যে, “আমি এখন আমার DNA ওপেন-সোর্স করার পরিকল্পনা করছি। যাতে আমার বায়োলজিক্যাল কিডস একে অপরকে সহজেই খুঁজে পেতে পারে।”

আরও পড়ুন: ইন্টারনেটের নেশায় বুঁদ হচ্ছেন ভারতীয়রা! প্রতিদিন অনলাইনে কাটে এত ঘণ্টা, চমকে দেবে পরিসংখ্যান

পাভেল (Pavel Durov) লিখেছেন, “আমি জানি এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। তবে ডোনার হওয়ার জন্য আমার কোনও অনুশোচনা নেই। কারণ হেলদি স্পার্মের অভাব সারা বিশ্বে এখন একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই, আমি গর্বিত যে আমি এই পদক্ষেপ নিয়েছি।”

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর