বাংলা হান্ট ডেস্ক: সারা সপ্তাহ জুড়েই টিভি চ্যানেল গুলিতে সম্প্রচারিত হয় একের পর এক জনপ্রিয় সব মেগা সিরিয়াল। তাই দর্শকদের স্বাদ বদলের জন্য টিভি চ্যানেলগুলিতে সম্প্রচারিত হয় বিভিন্ন ধরনের গেম শো। তবে এই মুহূর্তে টেলিভিশনের পর্দার সম্প্রচারিত সবচেয়ে জনপ্রিয় গেম শো হল একটাই তা হল জি বাংলার (Zee Bangla) ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ (Didi No 1)।
কল্যাণী মণ্ডল (Kalyani Mondal) কেন ‘জাতীয় অপরাধী’?
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সঞ্চালিত এই জনপ্রিয় গেম শো’টিতে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি হামেশাই হাজির হয়ে থাকেন জনপ্রিয় সব সেলিব্রেটিরাও। সম্প্রতি এই মঞ্চেই হাজির হয়েছিলেন বাংলা সিরিয়ালের এক ঝাঁক জনপ্রিয় কলাকুশলীরা। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী কল্যাণী মন্ডল (Kalyani Mondal) এবং বাংলা সিরিয়ালের জনপ্রিয় খলনায়িকা কাঞ্চনা মৈত্র (Kanchana Moitra)।
প্রসঙ্গত এই বয়সে এসেও অভিনেত্রী কল্যাণী মন্ডল মাথা ভর্তি পাকা চুল হলেও আদ্যোপান্ত তিনি কিন্তু দারুন স্টাইলিশ দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে এই বর্ষিয়ান অভিনীত আচমকা বেফাস কথা বলে ফেললেন বাংলা সিরিয়ালের জনপ্রিয় খলনায়িকা কাঞ্চনা মৈত্র। এই বয়সে এসেও শনিদের শরীরের প্রতি দারুন যত্নশীল কল্যাণী দেবী (Kalyani Mondal) তাই তার এই রূপের সিক্রেট সম্পর্কে জানতে কল্যাণী দেবীর (Kalyani Mondal) কাছে প্রশ্ন করেছিলেন অভিনেত্রী রচনা বন্দোপাধ্যায়।
এই বয়সেই সুন্দরী কল্যাণী মণ্ডলের কাছে রচনা প্রশ্ন করেন, ‘তুমি কি ভীষণ রেস্টিকটেড ডায়েটে থাকো?’ উত্তরে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বলেন, ‘না-না, আমি ভাতও খাই’। তখন পাল্টা প্রশ্ন করে রচনা বলেন, ‘আমি সবসময় দেখেছি, তুমি বাড়ির খাবার খাও।’ জবাবে সম্মতি দিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ, বাড়ির খাবারই খাই। কোল্ড ড্রিংস, আইসক্রিম, চকোলেট, এসব কিছুই খাই না।’
আরও পড়ুন: নকল হইতে সাবধান! অরিজিতের কণ্ঠ নিয়ে বড় ঘোষণা করল আদালত
শুনে অবাক রচনা আবার প্রশ্ন করেন, ‘কিচ্ছু না! কখনও ইচ্ছে করে না? যে একটু কোল্ড ড্রিংস খাব বা নুডুলস খাব…’। তখন কল্যাণী বলেন, ‘নিশ্চয় খাই, এক্কেবারেই খাই না, তা নয়। যেমন বিরিয়ানিটা তেমন পছন্দ করি না। আমার না মাছ, মাংস, ডিম কিচ্ছু ভালো লাগে না। শুধু ভেজ খাই।’
View this post on Instagram
এসব শুনে তখন আরও অবাক পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা বাংলা সিরিয়ালের জনপ্রিয় খলনায়িকা কাঞ্চনা মৈত্র। পাল্টা প্রশ্ন করে তিনি বলেন, ‘তুমি একটা জাতীয় অপরাধী, তুমি জানো সেটা? বিরিয়ানি যাঁর ভালো লাগে না, সে জাতীয় অপরাধী।’ জবাবে তখন একগাল মিষ্টি হাসি নিয়ে দুহাত বাড়িয়ে দিয়ে কল্যাণী মণ্ডল ইঙ্গিত করেন, তাঁর হাতে হাতকড়া পরানো হোক।