আরজি কর কাণ্ডে আরও অস্বস্তিতে তৃণমূল? এই বিধায়ককে তলব করল ED! তোলপাড় রাজ্য

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্য থেকে রাজনীতি, আরজি কর কাণ্ডের আঁচ এসে পড়েছে সর্বত্র। সম্প্রতি হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তে তৃণমূল বিধায়ক তথা আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি (Enforcement Directorate)। সিঁথির রোডের বাড়ির পাশাপাশি তাঁর নার্সিংহোম এবং হুগলির বাংলোতেও হানা দেয় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এবার তাঁকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

  • তৃণমূল বিধায়ককে কেন তলব করল ইডি (Enforcement Directorate)?

আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ, খুনের ঘটনার পর থেকে রাজ্যজুড়ে উঠেছে প্রতিবাদের ঢেউ। এরপরেই শিরোনামে উঠে আসে হাসপাতালের অন্দরে হওয়া নানান দুর্নীতির অভিযোগ। এই মামলাতেই সুদীপ্তর (Sudipto Roy) বাড়ি, বাংলো, নার্সিংহোমে হানা দিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। এবার তাঁকে তলব করা হল।

   
  • কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

এদিন দুপুরেই ইডি দফতরে হাজির হন তৃণমূল বিধায়ক। ইডি (Enforcement Directorate) সূত্রে জানা যাচ্ছে, সুদীপ্তর বাড়ি থেকে তল্লাশি চালিয়ে তিনটি ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। সেগুলি খুলতেই তাঁকে আজ তলব করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, তদন্তের জন্য বাজেয়াপ্ত করা মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সামনেই খুলতে হয়।

আরও পড়ুনঃ মারাত্মক অভিযোগ! সন্দীপের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ হাইকোর্টের! আরজি কর কাণ্ডের আবহেই তোলপাড়

আজ সিজিও কমপ্লেক্সে প্রবেশ করার আগে সুদীপ্ত বলেন, ‘আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলির অভিযোগের ভিত্তিতে ইডি আমার বাড়িতে গিয়েছিল। আমার সঙ্গে দুর্নীতির কোনও সম্পর্ক নেই। ইডি আমায় ডেকেছিল, সেই কারণে এসেছি’। অন্যদিকে বিধায়কের মেয়ে জানিয়েছেন, বাজেয়াপ্ত করা ফোন খোলার জন্য এদিন সুদীপ্তকে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (Enforcement Directorate)।

Sudipto Roy TMC MLA Enforcement Directorate raid

উল্লেখ্য, আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। জানা যাচ্ছে, এরপর থেকেই নজরে রয়েছেন হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের চিকিৎসক বিধায়ক সুদীপ্ত। সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, আরজি করের যন্ত্রপাতি নিজের নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়েছেন সুদীপ্ত। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক জানান, ১৯৮৪ সালে এই নার্সিংহোম বানিয়েছেন। বাম জমানায় একটু একটু করে এটি গড়ে তোলেন তিনি। সুদীপ্তর কথায়, ‘যে কেউ আমার নার্সিংহোমে গিয়ে যাচাই করতে পারেন, আমি এমন কিছু করেছি কিনা’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর