আমরণ অনশনের মাঝেই জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মানল সরকার! শুনেই দেবাশিসরা বললেন…

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুজোর আবহে গত ৫ অক্টোবর থেকে আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। দেখতে দেখতে দশ দিন অতিক্রান্ত। ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অনেকে। তবে অনশন থামেনি। এখনও ধর্মতলার অনশন মঞ্চে রয়েছেন রুমেলিকা, স্পন্দনরা। এসবের মাঝেই এবার জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ দফা দাবির মধ্যে একটি দাবি মেনে নিল সরকার (Government of West Bengal)।

  • জুনিয়র ডাক্তারদের কোন দাবি মানল রাজ্য (Government of West Bengal)?

মঙ্গলবার দুর্গাপুজো কার্নিভালের দিন দ্রোহ কার্নিভালের ডাক দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। ধর্মতলা চত্বরে ছিল মানুষের ভিড়। এবার তাঁদের ১০টি দাবির মধ্যে একটি মেনে নিল সরকার। জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors) দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল কেন্দ্রীয়ভাবে রোগী রেফারেল ব্যবস্থা চালু করা। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে পরীক্ষামূলকভাবে তা চালু করেছে স্বাস্থ্য ভবন।

রিপোর্ট অনুসারে, মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে কেন্দ্রীয় রেফারেল সিস্টেম (Patient Referral System) চালু করা হল। যে কারণে এই ব্যবস্থার সঙ্গে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, এসএসকেএম, ক্যালকাটা ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজ যুক্ত হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ‘দাদাগিরি’ বন্ধ! এই জায়গাগুলিতে আর ডিউটি নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

জানা যাচ্ছে, নয়া এই পদ্ধতির মাধ্যমে গ্রামীণ হাসপাতাল, ব্লক প্রাথমিক কেন্দ্র থেকে রোগীকে স্টেট জেনারেল, মহকুমা, সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল তথা ‘টাইপ-এ’ চিকিৎসালয়ে রেফার করা যাবে। এছাড়া যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে সেখান থেকে জেলা হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল তথা ‘টাইপ বি’ চিকিৎসালয়েও রোগীকে রেফার করা যাবে।

আমরণ অনশনের মাঝেই জুনিয়র ডাক্তারদের একটি দাবি মেনে নিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে মুখ খুলেছেন জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের অন্যতম ‘মুখ’ দেবাশিস সরকার। তিনি বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা এই ব্যবস্থায় কিছু খামতি আছে। পরীক্ষামূলকভাবে চালু করে সরকারও (Government of West Bengal) সেটা বুঝতে পারবে বলে আশা করেন তিনি।

Junior doctors protest Government of West Bengal

দেবাশিসের (Debasish Halder) কথায়, ‘এই রেফারেল সিস্টেম নিয়ে আমাদের বেশ কিছু পরামর্শ রয়েছে। তবে সরকার নিজের মতো করে করেছে। তাও দেখা যাক। তবে সমস্যা মিটবে বলে মনে হচ্ছে না। এই ব্যবস্থায় ডাক্তারদেরই সম্পূর্ণ দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে বলে জানতে পারছি। সেটা করলে হবে না। সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্টভাবে কন্ট্রোল রুম করে কর্মী রাখতে হবে’।

উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে ১০ দফা দাবি সামনে রেখে আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। দশ দিন কেটে গেলেও অনশন চলছে। এমতাবস্থায় চিকিৎসকদের একটি দাবি মেনে নিল সরকার (Government of West Bengal)। আগামীদিনে পরিস্থিতি কোন দিকে বাঁক নেয় সেটাই দেখার।


Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর