বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, গত অক্টোবরে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স ভিত্তিক মুদ্রাস্ফীতির (Inflation) হার বেড়েছে ৬.২১ শতাংশে। যা তার আগের মাসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে ছিল ৫.৪৯ শতাংশ। এই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার প্রকাশিত সরকারি তথ্য অনুযায়ী জানা হয়েছে, মূলত খাদ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধির কারণেই এমনটা হয়েছে।
মুদ্রাস্ফীতির (Inflation) প্রসঙ্গে সামনে এল বড় আপডেট:
আর এইভাবেই খুচরো মুদ্রাস্ফীতির (Inflation) হার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ৬ শতাংশের সন্তোষজনক স্তরের ওপরে চলে গেছে। জানিয়ে রাখি যে, গত বছরের একই মাসে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (CPI) ভিত্তিক মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৪.৮৭ শতাংশ। গত বছরের অগাস্টের পর এই প্রথম খুচরো মুদ্রাস্ফীতি RBI-এর টলারেন্স ব্যান্ডের ওপরে চলে গেছে। উল্লেখ্য যে, মুদ্রাস্ফীতি ৪ শতাংশে (২ শতাংশ ওঠানামার মধ্যে) রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ককে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির কারণে, RBI-এর সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা আবারও ম্লান হয়ে গেছে। গত মাসে RBI মনিটারি পলিসি রেপো রেট অপরিবর্তিত রেখেছিল ৬.৫ শতাংশে।
এদিকে, জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস (NSO) তথ্য দেখিয়েছে যে, গত অক্টোবরে খাদ্য সামগ্রীর মুদ্রাস্ফীতি (Inflation) বেড়ে ১০.৮৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যা গত সেপ্টেম্বরে ৯.২৪ শতাংশ এবং গত বছরের অক্টোবরে ৬.৬১ শতাংশ ছিল৷ খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সের মোট পরিমাণের অর্ধেক গ্রহণ করে থাকে।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছতেই চরম টেনশনে টিম ইন্ডিয়া! প্রথম টেস্টেই ঘটতে পারে বড় কেলেঙ্কারি
এদিকে, গ্রামীণ মুদ্রাস্ফীতি (Inflation) গত সেপ্টেম্বরে ৫.৮৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬.৬৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। যেখানে শহুরে মুদ্রাস্ফীতি আগের মাসে ৫.০৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫.৬২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে পেঁয়াজের দাম উদ্বেগজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে পেঁয়াজের পাইকারি দাম কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: চাঁদ থেকে নিয়ে আসা মাটি এবার ধার দিতে চায় চিন! কি মতলব আঁটছে পড়শি দেশ? জানলে হবেন “থ”
সুদের হার কি কমানো হবে: RBI-এর মুদ্রানীতি কমিটি (MPC) গত মাসে নিরপেক্ষভাবে তার অবস্থান পরিবর্তন করে, সম্ভাব্য হার কমানোর পথ খুলে দিয়েছে। তবে RBI গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জোর দিয়েছিলেন যে নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণকে সুদের হারের সম্ভাব্য হ্রাস হিসাবে ব্যাখ্যা করা উচিত নয়। ICRA-র মুখ্য অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ার এই প্রসঙ্গে বলেছেন, মূল মুদ্রাস্ফীতি (Inflation) সেপ্টেম্বরে ৩.৮ শতাংশ থেকে অক্টোবরে ৪ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে, এটি আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে ডিসেম্বরে RBI-এর সুদের হার কমানোর সুযোগ কমেছে।