বাংলাহান্ট ডেস্ক : চা খেতে ভালোবাসেন? সোশ্যাল মিডিয়ায় পছন্দ করেন নিশ্চয়ই? কী ভাবছেন, এই দুটি প্রশ্নের মধ্যে যোগসূত্র কোথায়? এই সোশ্যাল মিডিয়া ছিল বলেই তো এক অতি সাধারণ চা ওয়ালার খ্যাতি হয়ে উঠল জগৎ জোড়া। পাকিস্তানের (Pakistan) ফুটপাতের এক ছিমছাম থেকে চায়ের দোকান থেকে লন্ডনে ঝাঁ চকচকে ক্যাফে, এই চা ওয়ালার উত্থান বাস্তবিকই চমকপ্রদ। আর তাঁর জনপ্রিয়তার পেছনে সম্পূর্ণ কৃতিত্বটাই যে নেট দুনিয়ার তা স্বীকার করবেন সকলেই।
চা বানিয়েই কোটি টাকা পেলেন পাকিস্তানের (Pakistan) যুবক
তিনি পাকিস্তানের (Pakistan) আরশাদ খান। পেশায় একজন চা ওয়ালা। ২০১৬ সালে সোশ্যাল মিডিয়ায় হঠাৎই ভাইরাল হয়ে যান তিনি। নেট দুনিয়ায় তাঁর ছবি ছড়িয়ে পড়ে রাতারাতি। এক অজানা অচেনা পাকিস্তানি (Pakistan) যুবকের লুকস দেখে রাতের ঘুম ওড়ে বহু যুবতীর। সেই খ্যাতি নষ্ট হতে দেননি আরশাদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া আরো বহু মানুষের মতো তিনি হারিয়ে যাননি। বরং বুদ্ধি খাটিয়ে সুযোগ কাজে লাগিয়ে শুধু নিজের জনপ্রিয়তাই বাড়াননি, উন্নতি করেছেন নিজের ব্যবসারও। এবার পাকিস্তানের (Pakistan) ‘শার্ক ট্যাঙ্ক’ শো থেকে ১ কোটি টাকার বিনিয়োগও পেয়ে গিয়েছেন আরশাদ।
নিজের ব্র্যান্ড করেছেন আরশাদ: পাকিস্তানে (Pakistan) ফুটপাতে একটি ছোট্ট চায়ের দোকান ছিল আরশাদের। সেখান থেকে নিজের ব্র্যান্ড করেছেন তিনি। নাম ‘চায়ওয়ালা অ্যান্ড কোং’। পাকিস্তানের ট্র্যাডিশনাল চায়ের সঙ্গে সে দেশের সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটিয়েছে তাঁর ব্র্যান্ড। আরশাদের কথায়, পাকিস্তানের (Pakistan) প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন তাঁর চিরদিনের। তাও আবার চায়ের মতো একটি আপাত সাধারণ পানীয় দিয়ে পাকিস্তানের নাম বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে পেরে তিনি গর্বিত।
আরও পড়ুন : ‘চিরকাল খারাপ ছেলে ছিলাম, আমার জন্য মা কখনো ভালো থাকেনি’, হঠাৎ কী হল অরিজিতের?
পরিচয় দিয়েছেন নিজের ব্যবসায়িক বুদ্ধির: পাকিস্তানের (Pakistan) সর্বত্রই নিজের চায়ের দোকান খুলেছেন আরশাদ। এছাড়াও লন্ডনেও খুলেছেন একটি সুদৃশ্য ক্যাফে। পাকিস্তানের স্থানীয় চায়ের দোকানের আবহকে ক্যাফের আভিজাত্যের সঙ্গে মিশিয়েছেন তিনি। লন্ডনের মতো শহরে ক্যাফে চালু করে যে নিজের ব্যবসায়িক বুদ্ধির প্রতিফলন ঘটিয়েছেন আরশাদ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন বিভিন্ন সংস্থাকে ক্যাফের ফ্র্যাঞ্চাইজি খোলার জন্য স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।
সুপুরুষ চেহারার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় রাতারাতি ভাইরাল হয়ে গিয়েছিলেন আরশাদ। তার পরপর বেশ কিছু লোভনীয় মডেলিং প্রস্তাবও পেয়েছিলেন তিনি। তবে শেষমেষ নিজের ব্যবসার উন্নতির দিকেই মন দিয়েছেন আরশাদ খান।