বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কয়েক বছরে পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন মানচিত্রে দীঘার মতই অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মন্দারমণি। জনপ্রিয়তার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এখানকার হোটেল-রিসোর্ট-এর সংখ্যাও। বিগত কয়েক বছরে মন্দারমণিতে ব্যাঙের ছাতার মতোই বেআইনিভাবে গজিয়ে উঠেছে বেশ কিছু হোটেল রিসর্ট।
মন্দারমণির হোটেল ভাঙার খবর পেয়েই রণমূর্তি নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)
নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে এই সমস্ত হোটেল রিসর্ট নির্মাণ না করায় তার জন্য পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। জল গড়ায় কেন্দ্রের পরিবেশ আদালত পর্যন্ত। এই আদালতই নির্দেশ দেয় মন্দারমণির মোট ১৪০টি হোটেল আগামী নভেম্বরের মধ্যে ভেঙে ফেলতে হবে। পরিবেশ আদালতের এই নির্দেশকে মান্যতা দিয়েই হোটেল ভেঙে ফেলার নোটিশ দিয়েছিল জেলা প্রশাসন।
ইতিমধ্যেই ৩০ টি হোটেল কে চিহ্নিত করেছে তারা। কিন্তু এই খবর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কানে উঠতেই রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। নবান্ন সূত্রে খবর এদিন মন্দারমণির এই ১৪০ টি হোটেল ভাঙার নির্দেশ দেওয়ার কথা শোনার যারপরনাই স্তম্ভিত হয়ে যান রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান (Mamata Banerjee) ।
মুখ্য সচিবের সাথে আলোচনা না করেই কেন জেলা প্রশাসন এত বড় সিদ্ধান্ত নিল? সেই প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। একইসাথে অবিলম্বে জেলা প্রশাসনকে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের নির্দেশও দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। প্রসঙ্গত জেলা প্রশাসন মন্দারমণির ১৪০টি বেআইনি হোটেল ভেঙে ফেলার নোটিশ দেওয়ার পর কার্যত রাতের ঘুম উড়ে যায় হোটেল ব্যবসায়ীদের।
আরও পড়ুন: মন্দিরের কাজ করতে পারবেন না অ-হিন্দু কর্মীরা! কেন এই সিদ্ধান্ত নিল তিরুপতি মন্দির ট্রাস্ট?
সিদ্ধান্ত বদলের জন্য ইতিমধ্যেই তারা হাইকোর্টের দ্বারস্থও হয়েছেন। পাশাপাশি তাঁরা জানিয়েছেন এই হোটেল ব্যবসার সাথে জড়িয়ে রয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষের রুজি রোজগার। তাই এইভাবে তার হোটেল গুলো ভেঙে দিলে তাদের সকলের ভবিষ্যৎ ঘোর অন্ধকারে ডুবে যাবে। এই একই কথা শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও।
জেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েই এদিন তিনি বলেছেন, প্রতিটি হোটেলে গড়ে ১০ জন করে কাজ করলে ১৪০টি হোটেলের ক্ষেত্রে ১৪০০ পরিবার রাতারাতি বে-রোজগার হয়ে পড়বেন। তাই এইভাবে সবাইকে পথে বসানোর সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। এদিন একেবারে শেষ বেলায় হোটেল ভাঙার সিদ্ধান্ত বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। আর তাতেই কার্যত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন মন্দারমণির হোটেল ব্যবসায়ীরা।