বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলাদেশে (Bangladesh) এখনো জেলবন্দি ইসকন সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। জাতীয় পতাকাকে অবমাননার দায় দিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে ইউনূসের সেনা। তারপর থেকেই লঙ্ঘিত হয়েছে চিন্ময় কৃষ্ণের আইনি অধিকার। গত ৩ রা ডিসেম্বর তাঁর হয়ে সওয়াল করার জন্য একজন আইনজীবীকেও দেখা যায়নি আদালতে। চিন্ময় কৃষ্ণের হয়ে লড়লেই হয় হামলা হচ্ছে, নয়তো মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। শেষমেষ চিন্ময় কৃষ্ণের জন্য বিচার চাইতে এগিয়ে আসেন আইনজীবী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এবার তাঁর ভারতে আসা নিয়ে শুরু হয়েছে কটাক্ষ।
বাংলাদেশে (Bangladesh) শুনানির আগেই ভারতে এলেন চিন্ময় কৃষ্ণের আইনজীবী
কোনো আইনজীবী যখন চিন্ময় কৃষ্ণের হয়ে মামলা লড়তে রাজি নন, তখন এগিয়ে এসেছিলেন ৭৫ বছর বয়সী প্রবীণ আইনজীবী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। আগামী ২ রা জানুয়ারি শুনানি রয়েছে চিন্ময় কৃষ্ণের। এমতাবস্থায় তাঁর ভারতে আসা নিয়ে বাঁকা মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে নেটপাড়ার একাংশকে। তিনি নাকি ভয় পেয়ে ভারতে পালিয়ে গিয়েছেন, এমনি মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে অনেককে। এবার এর জবাব দিলেন আইনজীবী।
হঠাৎ কেন এদেশে এলেন: রবীন্দ্রনাথ ঘোষ স্পষ্ট বলেন, ‘নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আইনি সহায়তা দেব। আমি মরতেও ভয় পাই না’। সেই সঙ্গে তিনি জানান, চিকিৎসার জন্য তিনি ব্যারাকপুরে এসেছেন। পালিয়ে আসেননি। জানা গিয়েছে, একটি দুর্ঘটনায় পায়ে চোট পেয়েছিলেন তিনি। পায়ে অস্ত্রোপচার হয়েছিল তাঁর। চেকআপ করতেই এপার বাংলায় এসেছিলেন তিনি।
আরো পড়ুন : ভরা মঞ্চে দাঁড়িয়ে নিজের দেশের বদনাম! ভারতে আর শো করবেন না, জানিয়ে দিলেন দিলজিৎ
বিষ্ফোরক দাবি বাংলাদেশের ইসকনকে নিয়ে: চিন্ময় কৃষ্ণের বিষয়ে আইনজীবী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দাবি করেন, শুধু বাংলাদেশের (Bangladesh) সরকার নয়, ইসকনের ভেতরেও তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। আইনজীবী বলেন, বাংলাদেশে (Bangladesh) চিন্ময় কৃষ্ণের বিপুল জনপ্রিয়তা ছিল। সেই কারণে ইসকনের ভেতরে অনেক শত্রু তিনি বানিয়ে ফেলেছিলেন বলে দাবি করেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তাঁর কথায়, তিনি হিন্দুদের অধিকার রক্ষায় আন্দোলন করেছেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরো পড়ুন : তীব্র বিস্ফোরণে ঘটল ভূমিকম্প! ইজরায়েলের হামলায় বিধ্বস্ত সিরিয়া, ভিডিও ভাইরাল হতেই হইচই বিশ্বজুড়ে
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চিন্ময় কৃষ্ণের গ্রেফতারির পর ইসকনের বাংলাদেশ (Bangladesh) শাখার তরফে প্রথমে বলা হয়েছিল, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁর কোনো কৃতকর্মের দায় তাঁরা নেবে না। যদিও পরে বক্তব্য প্রত্যাহার করে তাঁরা। এদিকে ইসকনের কলকাতা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস বলেছিলেন, কোনো অভিযোগই প্রমাণ হয়নি চিন্ময় কৃষ্ণের বিরুদ্ধে।