বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইউনূস সরকারের কাছে এখন মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে একের পর এক ছাত্র আন্দোলন। যে ছাত্র আন্দোলনের হাত ধরে বাংলাদেশের (Bangladesh) ক্ষমতায় এসেছে ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, সেই ছাত্র আন্দোলনই কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের।
বাংলাদেশের (Bangladesh) ছাত্রদের ফের আন্দোলন
ছাত্র আন্দোলনের চাপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাতটি কলেজকে ভিন্ন করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এবার তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার দাবিতে সরব ছাত্রদের একাংশ। ছাত্রদের পক্ষ থেকে সরকারি এই কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার সময়সীমা বা ডেডলাইনও বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
আরোও পড়ুন : ফুরোচ্ছে জ্বালানি! সঙ্কটের সম্মুখীন হয়ে ফের ভারতের শরণাপন্ন ইউনূস
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে রেল এবং সড়কপথ অবরোধের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ছাত্ররা (Students)। নিজেদের দাবি নিয়ে মঙ্গলবার থেকে কলেজের ক্লাস ও পরীক্ষাও বন্ধ রেখেছেন আন্দোলনকারীরা। ঢাকার সাতটি কলেজের ছাত্ররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘মুক্ত’ হওয়ার দাবি জানান। এমনকি সোমবার বিকেলের মধ্যে তাদের দাবিতে মান্যতা না দেওয়া হলে বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
আরোও পড়ুন : হু হু করে কমবে দাম? এলপিজি গ্যাস নিয়ে বড় ঘোষণা করতে পারে সরকার! কত টাকায় মিলবে সিলিন্ডার?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবশ্য ছাত্রদের দেওয়া সময়সীমার মধ্যেই আন্দোলনকারীদের দাবিতে মান্যতা দেয়। একই সাথে ছাত্রদের তরফে বিশ্ববিদ্যলায়ের প্রো-ভিসির পদত্যাগ সহ একাধিক দাবি জানানো হয়। মঙ্গলবার বিকালে আন্দোলনকারীরা জানান, কর্তৃপক্ষের তরফে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস পাওয়া গেছে। তাই প্রত্যাহার করা হচ্ছে আন্দোলন।
আবার তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার পাশাপাশি প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তোলার জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) ছাত্ররা। আন্দোলনকারীরা জানান, তাদের দাবি যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মানা না হয় তাহলে বৃহস্পতিবার থেকে মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ শুরু হবে।
তিতুমীর কলেজের এক ছাত্র সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘পড়ুয়াদের আন্দোলনের চাপে সাতটি কলেজকে আলাদা করে দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এতে ওই কলেজগুলি এখন অভিভাবকহীন হয়েছে। তবে আমারা তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে অনড়। বৃহস্পতিবারর মধ্যেই এই কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার জন্য ভিসি, প্রো-ভিসি নিয়োগ করে প্রশাসনিক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। তা না হলে আমরা মহাখালীতে রাস্তা এবং রেল অবরোধ শুরু করব।’