বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বেতাঙ্গ পুলিশের বর্বর নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ঘটনায় বর্ণবাদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ। কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করল সে দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (NASA)। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক প্রতিবেদনে বলেছে, সংস্থাটি তাদের হেডকোয়ার্টার বিল্ডিংয়ের নাম পরিবর্তন করে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী প্রকৌশলীর নামে নামকরণের ঘোষণা দিয়েছে।
শ্বেতাঙ্গ পুলিশের বর্বর নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড হত্যার পর জনগণের ক্ষোভের মুখে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র পুলিশে সংস্কার আনার ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন স্থানে ভাঙা হয়েছে শ্বেতাঙ্গ উপনিবেশিক শাসকদের ভাস্কর্য। জাতিগত অসমতা নিয়ে বিতর্কের মুখে ত্বক ফর্সা করার ক্রিম বিক্রি না করার ঘোষণা দিয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন। সেই ধারাবাহিকতায় নতুন সংযোজন নাসার পদক্ষেপ।
তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নাসার হেডকোয়ার্টার বিল্ডিংয়ের নাম পরিবর্তন করে ‘মেরি উইলিয়াম জ্যাকসন’ নাম রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার সংস্থাটির প্রশাসক জিম ব্রিডেনস্টাইন এ ঘোষণা দেন। মেরি মার্কিন এই মহাকাশ সংস্থার প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান নারী প্রকৌশলী।
১৯৫০-এর দশকে ভার্জিনিয়ার হ্যাম্পটনে অবস্থিত নাসার ল্যাংলে রিসার্চ সেন্টারে কর্মজীবন শুরু করেন মেরি জ্যাকসন। মহাকাশ সংস্থার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী প্রকৌশলী হিসেবে বিভিন্ন প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
গতবছর নাসার এই ভবনের নাম রাখা হয়েছিল ‘হিডেন ফিগারস ওয়ে’। মূলত মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় আগে যে সব আফ্রিকান-আমেরিকান নারী কর্মী ছিলেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ওই নামকরণ করা হয়েছিল। তবে এখন আর অপ্রকাশ্য (হিডেন) নয়, তাদের প্রকাশ্যেই সামনে আনতে চাইছে নাসা।
জিম ব্রিডেনস্টাইন বলেছেন, ‘আর অপ্রকাশ্য নয়, নারী, আফ্রিকান আমেরিকান-সহ যারা নাসার সাফল্যের ইতিহাসের নেপথ্যে ভূমিকা রেখেছেন, তাদের সবার নামকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে’।